বরিশালে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন ও কর্মচাঞ্চল্য। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন।
শীত থেকে বাঁচতে ফুটপাত ও মার্কেটে গরম পোশাকের দোকানে ভিড় বাড়লেও সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা শনিবার ছিল ১২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে জেলায় শীতের দাপট বেড়েছে। সকালে কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডা। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার রাস্তাঘাটে শ্রমজীবী মানুষের দেখা মিললেও সংখ্যায় ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ছিল অনেক কম । হঠাৎ করেই জেলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন কেউ। শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীদের চাপ। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।’
এদিকে বিকেল পর্যন্ত জেলায় কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। এ সময় পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। আরও দু-একদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

