ভোলার খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন, উপকূলে আতঙ্ক

এম লোকমান হোসেন, চরফ্যাশন (ভোলা)
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৬: ৩২

ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে মাছের ঘের, পুকুর ও মাঠের ফসল। এছাড়াও হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া গ্রামে বেড়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। এতে হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলের নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে খেজুরগাছিয়া বাঁধটির প্রায় ৩০০ ফুট রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্র ও শনিবার দুইদিনের বৃষ্টি ও মেঘনায় জোয়ারের চাপে পাউবোর বেড়িবাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে দুইটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামবাসী।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির আঘাতে ভাঙ্গণ দেখা দিলেও জরুরি মেরামতের বরাদ্দ হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হলে বাঁধটি এতো দ্রুত ভেঙে যেতো না। এখন পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি না ঢুকলেও আগামী দু একদিনে এ বাঁধটি ভেঙে যাবে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকায়।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, দ্রুত সংস্কার না করলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি ভেঙ্গে গ্রামে পানি প্রবেশ করবে। এতে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।’

হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড ( চরফকিরার) বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুনছি গত মে/ জুনে ভেরিবাঁধ মেরামতের জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তখন দ্রুত কাজ করলে চরফকিরাসহ হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুরের প্রায় ১ লাখ মানুষ আতঙ্কে থাকা লাগতো না। বাঁধ মেরামতের বরাদ্দ যেন যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়, সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর রাখতে জোড় দাবি করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত খেজুর গাছিয়া ভেরিবাঁধ পরিদর্শন শেষে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, খেজুরগাছিয়া বাঁধে জিও রোল দিয়ে ভাঙ্গা অংশ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মাটি ভরাট করে তার সামনে ড্যাম ফেলে ভাঙন রোধ করা যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা আমার দেশকে বলেন, খেজুর গাছিয়া ভেরিবাধঁ মেরামতে ২টি প্যাকেজে (২৮+১৮) মোট ৪৬ লাখ টাকা জরুরি ভিত্তিতে গত জুনে বরাদ্দ হয়েছে। ২ মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করতে হবে। বৃষ্টি কমলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত