ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও গণধোলাই
উপজেলা প্রতিনিধি, (চরফ্যাশন) ভোলা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ভোলার চরফ্যাশনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে চাকুরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বাড়ি চরফ্যাসন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে।
অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে রুহুল আমিন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির সেক্রেটারি হয়েছেন। এরপরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নবায়ন ও কোর্ড করে দেবে বলে বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রধান ও কমিটির কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে এসব মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে চাকুরিপ্রত্যাশী বেকার নারী পুরুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রুহুল আমিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার নামে কাগজে কলমে মাদ্রাসার নামসর্বস্ব প্যাড দেখিয়ে তাদের ওই সেসব মাদ্রাসায় নিয়োগ দেবে বলে টাকা নেন। এমন শত শত চাকুরিপ্রত্যাশী শিক্ষকগণ নিয়োগপত্র চাইলে তিনি নিজ হাতে তৈরি নিয়োগপত্র তাদের হাতে ধরিয়ে দিতেন। আওয়ামী লীগের আমলে একবার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কথা উঠলে, তখনও এই রুহুল আমিন চাকরি ও এমপিওভুক্তি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রধান ও শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। পরে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরে এমপিও না পেয়ে রুহুল আমিনকে টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দিলে রাজনৈতিক প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী অসহায় শিক্ষকদের থামিয়ে দেয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রুহুল আমিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এমন কি একই পদে নিয়োগের জন্য সে ৬-৭ জনের কাছ থেকে ভিন্নভিন্ন অংকের টাকা নেয়। গত বছর ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের পতনের পর রুহুল আমিন এলাকা থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সারাদেশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিলে অভিযুক্ত রুহুল আমিন এলাকায় ফিরে এসে আগের মতো বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট রাতে রুহুল আমিন দুলারহাট বাজারে গেলে কয়েকজন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পাওনা টাকা আদায়ে তাকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা তাকে গণধোলাই দেয় বলে জানা গেছে। পরে ভুক্তভোগীদের টাকা দ্রুত ফেরত দেবে বলে লিখিত দিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছাড়া পায় রহুল আমিন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি এখনও নিজেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির একই সাথে ভোলা জেলা সভাপতি ও চরফ্যাশন উপজেলা সেক্রেটারি দাবি করে বলেন, দুলারহাটে শিক্ষকদের এফডিআর নিয়ে মীমাংসা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও কয়েকজন ব্যক্তি টাকা পাবে বলে আমাকে মারধর করে, তবে তিনি গণধোলাইয়ের কথা অস্বীকার করেন।
দুলারহাট এলাকার বাসিন্দা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের আমলে আমার ছোট বোনসহ বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছ থেকে চাকুরি দেবে বলে টাকা নিয়েছের। ভুক্তভোগীরা তাকে ঘেরাও করে ধরে এবং তিনি নির্দিষ্ট একটি তারিখে টাকা দেবে বলে লিখিত দিয়েছেন। টাকা না দিলে চাকুরিপ্রত্যাশী (পাওনাদারগণ) তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবো।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নোমান বলেন, রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের আমলে ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে শত শত অসহায় বেকারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বর্তমান সরকার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিও'র ঘোষণা দিলে তিনি আবারও তৎপর হয়ে ওঠে। শুনেছি বিভিন্ন পাওনাদারগণ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বিভিন্ন এলাকায় আটকিয়ে তাদের টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে।
ভোলা জেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির আহ্বায়ক ইউসুফ শরীফ বলেন, বর্তমানে রুহুল আমিন আমাদের কোন কমিটিতে নেই। তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। তিনি আমাদের সংগঠনের কেউ না এই মর্মে আমরা বিবৃতি দেবো। তিনি সাংগঠনিক কোন পরিচয় দিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, এবতেদায়ীর কয়েকজন শিক্ষক আমাকে তার ব্যাপারে জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাতে দুলারহাটে জনরোষে পড়ে তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন খবর পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ভোলার চরফ্যাশনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে চাকুরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বাড়ি চরফ্যাসন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে।
অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে রুহুল আমিন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির সেক্রেটারি হয়েছেন। এরপরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নবায়ন ও কোর্ড করে দেবে বলে বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রধান ও কমিটির কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে এসব মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে চাকুরিপ্রত্যাশী বেকার নারী পুরুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রুহুল আমিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার নামে কাগজে কলমে মাদ্রাসার নামসর্বস্ব প্যাড দেখিয়ে তাদের ওই সেসব মাদ্রাসায় নিয়োগ দেবে বলে টাকা নেন। এমন শত শত চাকুরিপ্রত্যাশী শিক্ষকগণ নিয়োগপত্র চাইলে তিনি নিজ হাতে তৈরি নিয়োগপত্র তাদের হাতে ধরিয়ে দিতেন। আওয়ামী লীগের আমলে একবার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কথা উঠলে, তখনও এই রুহুল আমিন চাকরি ও এমপিওভুক্তি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রধান ও শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। পরে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরে এমপিও না পেয়ে রুহুল আমিনকে টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দিলে রাজনৈতিক প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী অসহায় শিক্ষকদের থামিয়ে দেয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রুহুল আমিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এমন কি একই পদে নিয়োগের জন্য সে ৬-৭ জনের কাছ থেকে ভিন্নভিন্ন অংকের টাকা নেয়। গত বছর ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের পতনের পর রুহুল আমিন এলাকা থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সারাদেশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিলে অভিযুক্ত রুহুল আমিন এলাকায় ফিরে এসে আগের মতো বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট রাতে রুহুল আমিন দুলারহাট বাজারে গেলে কয়েকজন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পাওনা টাকা আদায়ে তাকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা তাকে গণধোলাই দেয় বলে জানা গেছে। পরে ভুক্তভোগীদের টাকা দ্রুত ফেরত দেবে বলে লিখিত দিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছাড়া পায় রহুল আমিন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি এখনও নিজেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির একই সাথে ভোলা জেলা সভাপতি ও চরফ্যাশন উপজেলা সেক্রেটারি দাবি করে বলেন, দুলারহাটে শিক্ষকদের এফডিআর নিয়ে মীমাংসা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও কয়েকজন ব্যক্তি টাকা পাবে বলে আমাকে মারধর করে, তবে তিনি গণধোলাইয়ের কথা অস্বীকার করেন।
দুলারহাট এলাকার বাসিন্দা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের আমলে আমার ছোট বোনসহ বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছ থেকে চাকুরি দেবে বলে টাকা নিয়েছের। ভুক্তভোগীরা তাকে ঘেরাও করে ধরে এবং তিনি নির্দিষ্ট একটি তারিখে টাকা দেবে বলে লিখিত দিয়েছেন। টাকা না দিলে চাকুরিপ্রত্যাশী (পাওনাদারগণ) তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবো।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নোমান বলেন, রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের আমলে ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে শত শত অসহায় বেকারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বর্তমান সরকার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিও'র ঘোষণা দিলে তিনি আবারও তৎপর হয়ে ওঠে। শুনেছি বিভিন্ন পাওনাদারগণ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বিভিন্ন এলাকায় আটকিয়ে তাদের টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে।
ভোলা জেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির আহ্বায়ক ইউসুফ শরীফ বলেন, বর্তমানে রুহুল আমিন আমাদের কোন কমিটিতে নেই। তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। তিনি আমাদের সংগঠনের কেউ না এই মর্মে আমরা বিবৃতি দেবো। তিনি সাংগঠনিক কোন পরিচয় দিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, এবতেদায়ীর কয়েকজন শিক্ষক আমাকে তার ব্যাপারে জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাতে দুলারহাটে জনরোষে পড়ে তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন খবর পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে