ভোলা ও চরফ্যাশন প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথির একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।
এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তা সংস্কারের নামে পুনরায় টেন্ডার দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাটের মহাযজ্ঞ চালাচ্ছেন। অপরদিকে তার স্বামী একই উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ হওয়ায় তার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে সাহস পান না কেউ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে চরফ্যাশনের ইউএনও মিথির অনিয়ম-দুর্নীতি, বিভিন্ন অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের নামে লাখ লাখ টাকা হরিলুটের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
মিথি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চরফ্যাশন পৌরসভার প্রশাসক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলে পৌরসভা ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে চরফ্যাশন পূর্ববাজার সোনালী পুকুরপাড়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। অথচ বর্তমান পৌর প্রশাসক মিথি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছর আগে পুকুরপাড় মার্কেটে নির্মিত ঘরের স্থানে কিচেন মার্কেট তৈরির প্রকল্প নেন। বরাদ্দ ধরা হয় ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১৮ মে টেন্ডার প্রকাশ করা হয়। ২ জুন টেন্ডার খোলা হয়। একাধিক ঠিকাদার টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। চরফ্যাশনের একজন ঠিকাদার কাজও পান। কিন্তু স্থানীয় জনগণের প্রশ্নÑপৌর প্রশাসক কীসের টেন্ডার দিলেন। ঠিকাদারইবা কী কাজ করবেন। কারণ, মার্কেট নির্মাণের কাজ তো আগেই করা হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলোতে বর্তমানে অনেক ভাড়াটেও আছেন।
ওই মার্কেটের ভাড়াটে চরফ্যাশন বাজারের একতা হার্ডওয়্যারের মালিক মো. নুর নবী আমার দেশকে বলেন, সোনালী পুকুরপাড়ের ঘরগুলো ২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে নির্মিত। নতুন করে কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হয়নি। আমি ছয় মাস থেকে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছি। আমার আগে এই ঘরে আরেক ভাড়াটে ছিলেন।
মার্কেটের পাশের ব্যবসায়ী মোল্লা ডোরের ইউনুস মোল্লা আমার দেশকে বলেন, অনেক আগেই পৌরসভা মার্কেটের ঘরগুলো নির্মাণ করে দিয়েছে। বর্তমান পৌর প্রশাসক কীসের টেন্ডার দিলেন বুঝে আসছে না।
চরফ্যাশন বাজারের বিশিষ্ট হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম মাস্টার আমার দেশকে বলেন, সোনালী পুকুরপাড়ের ঘরগুলো আওয়ামী লীগ আমলে নির্মিত। নতুন করে কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হয়নি, নির্মাণের জায়গাও নেই।
এছাড়া চরফ্যাশন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ পেশকার বাড়ি জামে মসজিদের সড়কটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে নির্মিত হয়েছে। অথচ ওই সড়ক নির্মাণের নামে চলতি বছরের ১৮ মে আবার টেন্ডার প্রকাশ করা হয়। টেন্ডার উন্মুক্ত করা হয় ২ জুন। যার নির্মাণ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা।
মসজিদের এক মুসল্লি আমার দেশকে বলেন, পেশকার বাড়ি জামে মসজিদের সড়কটিও ৫ আগস্ট ২৪-এর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এক বছর না যেতেই কেন আবার টেন্ডার ডাকা হলো বুঝি না।
চরফ্যাশন উপজেলায় অস্তিত্ব নেইÑএমন সব প্রকল্পের নামে জেলা পরিষদ থেকে কাগজে-কলমে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি প্রকল্প হলোÑচরফ্যাশন উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির জন্য বাদ্যযন্ত্র ক্রয় বাবদ তিন লাখ টাকা, শিল্পকলা একাডেমির সাউন্ড সিস্টেম ক্রয়ে তিন লাখ ও চরফ্যাশন মডেল মসজিদের মাদুর ক্রয় বাবদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
চরফ্যাশন মডেল মসজিদের মাদুর ক্রয়ের বিষয়ে ওই মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সালেহ উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, আমাদের মসজিদের জন্য মাদুর কেনা কিংবা কোনো টাকা-পয়সা বরাদ্দ জেলা পরিষদ থেকে পাইনি।
এ ব্যাপারে বিএনপির সাবেক চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি পুরোপুরি আওয়ামী দোসর। তিনি চিহ্নিত আওয়ামী দালালদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শলাপরামর্শ করেন। ইতঃপূর্বে হাটবাজার ইজারা, কাবিখা, কাবিটা, টিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বিভিন্ন অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা এসব প্রকল্পের নামও শুনিনি।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে নির্মিত সোনালী পুকুরপাড় মার্কেট ও পেশকার বাড়ি জামে মসজিদ সড়কটি নির্মাণ আগেই হয়েছে। কীভাবে আবার উপজেলা নির্বাহী ও পৌর প্রশাসক নির্মিত সড়ক এবং মার্কেটের টেন্ডার দিলেন বুঝতে পারছি না।
জিন্নাগড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর হোসেন আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এত দৃশ্যমান অভিযোগ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য কাজী মাওলানা হারুন অর রশিদ আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি ফ্যাসিস্টের এক নম্বর দোসর। তার অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করেছি। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ইতঃপূর্বে কাবিখা, কাবিটা, টিআর প্রকল্প ঠিকাদারের যোগসাজশে কোটি কোটি হরিলুটের পাশাপাশি হাটবাজার ইজারার নামে প্রায় ৭০ কোটি টাকা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ভাগবাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছ দৈনিক আমার দেশ-এ। সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সরেজমিনে তদন্ত করলেও দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি আমার দেশকে জানান, জেলা পরিষদের বরাদ্দের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পৌর মার্কেট ও রাস্তা নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। পৌর মার্কেটের যে জায়গায় টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, সেখানে জায়গা না থাকলে পৌরসভার আরো জায়গা আছে, সেখানে করা হবে। রাস্তার বিষয়টি আমাকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মিথির স্বামী সিনিয়র সহকারী জজ রেজাউল করিম বাধন বর্তমানে একই উপজেলায় চৌকি আদালতে কর্মরত। জানা গেছে, তিনি ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বাধন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাসনা মিথি ২০২২ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করে দীর্ঘদিন যশোরের শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে স্বামীর কর্মক্ষেত্র গোপালগঞ্জে আরডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথির একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।
এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তা সংস্কারের নামে পুনরায় টেন্ডার দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাটের মহাযজ্ঞ চালাচ্ছেন। অপরদিকে তার স্বামী একই উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ হওয়ায় তার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে সাহস পান না কেউ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে চরফ্যাশনের ইউএনও মিথির অনিয়ম-দুর্নীতি, বিভিন্ন অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের নামে লাখ লাখ টাকা হরিলুটের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
মিথি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চরফ্যাশন পৌরসভার প্রশাসক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলে পৌরসভা ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে চরফ্যাশন পূর্ববাজার সোনালী পুকুরপাড়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। অথচ বর্তমান পৌর প্রশাসক মিথি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছর আগে পুকুরপাড় মার্কেটে নির্মিত ঘরের স্থানে কিচেন মার্কেট তৈরির প্রকল্প নেন। বরাদ্দ ধরা হয় ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১৮ মে টেন্ডার প্রকাশ করা হয়। ২ জুন টেন্ডার খোলা হয়। একাধিক ঠিকাদার টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। চরফ্যাশনের একজন ঠিকাদার কাজও পান। কিন্তু স্থানীয় জনগণের প্রশ্নÑপৌর প্রশাসক কীসের টেন্ডার দিলেন। ঠিকাদারইবা কী কাজ করবেন। কারণ, মার্কেট নির্মাণের কাজ তো আগেই করা হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলোতে বর্তমানে অনেক ভাড়াটেও আছেন।
ওই মার্কেটের ভাড়াটে চরফ্যাশন বাজারের একতা হার্ডওয়্যারের মালিক মো. নুর নবী আমার দেশকে বলেন, সোনালী পুকুরপাড়ের ঘরগুলো ২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে নির্মিত। নতুন করে কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হয়নি। আমি ছয় মাস থেকে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছি। আমার আগে এই ঘরে আরেক ভাড়াটে ছিলেন।
মার্কেটের পাশের ব্যবসায়ী মোল্লা ডোরের ইউনুস মোল্লা আমার দেশকে বলেন, অনেক আগেই পৌরসভা মার্কেটের ঘরগুলো নির্মাণ করে দিয়েছে। বর্তমান পৌর প্রশাসক কীসের টেন্ডার দিলেন বুঝে আসছে না।
চরফ্যাশন বাজারের বিশিষ্ট হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম মাস্টার আমার দেশকে বলেন, সোনালী পুকুরপাড়ের ঘরগুলো আওয়ামী লীগ আমলে নির্মিত। নতুন করে কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হয়নি, নির্মাণের জায়গাও নেই।
এছাড়া চরফ্যাশন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ পেশকার বাড়ি জামে মসজিদের সড়কটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে নির্মিত হয়েছে। অথচ ওই সড়ক নির্মাণের নামে চলতি বছরের ১৮ মে আবার টেন্ডার প্রকাশ করা হয়। টেন্ডার উন্মুক্ত করা হয় ২ জুন। যার নির্মাণ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা।
মসজিদের এক মুসল্লি আমার দেশকে বলেন, পেশকার বাড়ি জামে মসজিদের সড়কটিও ৫ আগস্ট ২৪-এর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এক বছর না যেতেই কেন আবার টেন্ডার ডাকা হলো বুঝি না।
চরফ্যাশন উপজেলায় অস্তিত্ব নেইÑএমন সব প্রকল্পের নামে জেলা পরিষদ থেকে কাগজে-কলমে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি প্রকল্প হলোÑচরফ্যাশন উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির জন্য বাদ্যযন্ত্র ক্রয় বাবদ তিন লাখ টাকা, শিল্পকলা একাডেমির সাউন্ড সিস্টেম ক্রয়ে তিন লাখ ও চরফ্যাশন মডেল মসজিদের মাদুর ক্রয় বাবদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
চরফ্যাশন মডেল মসজিদের মাদুর ক্রয়ের বিষয়ে ওই মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সালেহ উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, আমাদের মসজিদের জন্য মাদুর কেনা কিংবা কোনো টাকা-পয়সা বরাদ্দ জেলা পরিষদ থেকে পাইনি।
এ ব্যাপারে বিএনপির সাবেক চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি পুরোপুরি আওয়ামী দোসর। তিনি চিহ্নিত আওয়ামী দালালদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শলাপরামর্শ করেন। ইতঃপূর্বে হাটবাজার ইজারা, কাবিখা, কাবিটা, টিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বিভিন্ন অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা এসব প্রকল্পের নামও শুনিনি।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে নির্মিত সোনালী পুকুরপাড় মার্কেট ও পেশকার বাড়ি জামে মসজিদ সড়কটি নির্মাণ আগেই হয়েছে। কীভাবে আবার উপজেলা নির্বাহী ও পৌর প্রশাসক নির্মিত সড়ক এবং মার্কেটের টেন্ডার দিলেন বুঝতে পারছি না।
জিন্নাগড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর হোসেন আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এত দৃশ্যমান অভিযোগ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য কাজী মাওলানা হারুন অর রশিদ আমার দেশকে বলেন, চরফ্যাশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি ফ্যাসিস্টের এক নম্বর দোসর। তার অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করেছি। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ইতঃপূর্বে কাবিখা, কাবিটা, টিআর প্রকল্প ঠিকাদারের যোগসাজশে কোটি কোটি হরিলুটের পাশাপাশি হাটবাজার ইজারার নামে প্রায় ৭০ কোটি টাকা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ভাগবাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছ দৈনিক আমার দেশ-এ। সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সরেজমিনে তদন্ত করলেও দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি আমার দেশকে জানান, জেলা পরিষদের বরাদ্দের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পৌর মার্কেট ও রাস্তা নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। পৌর মার্কেটের যে জায়গায় টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, সেখানে জায়গা না থাকলে পৌরসভার আরো জায়গা আছে, সেখানে করা হবে। রাস্তার বিষয়টি আমাকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মিথির স্বামী সিনিয়র সহকারী জজ রেজাউল করিম বাধন বর্তমানে একই উপজেলায় চৌকি আদালতে কর্মরত। জানা গেছে, তিনি ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বাধন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাসনা মিথি ২০২২ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করে দীর্ঘদিন যশোরের শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে স্বামীর কর্মক্ষেত্র গোপালগঞ্জে আরডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২০ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৮ মিনিট আগে