বার্ন ইউনিট নির্মাণ প্রকল্পে চমেকের পাহাড় কেটে সাবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৪৫
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৫০
পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে বার্ন ইউনিট, কর্তৃপক্ষের দাবি সামান্য স্লোপ করা হয়েছে এতে পাহাড়ের কোন ক্ষতি হয়নি। ছবি: আমার দেশ

বার্ন ইউনিট নির্মাণ প্রকল্পে পাহাড় কেটে সাবার করে ফেলেও তা বেমালুম অস্বীকার করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি না নিয়ে পাহাড় কাটার ছবিসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে চট্টগ্রামে। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আহবান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সকালে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তছলিম উদ্দীন জানান, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে ২৮৫ কোটি টাকা ব্যায়ে স্বতন্ত্র এই বার্ন ইউনিটটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার মূল অবকাঠামো হবে পাহাড়ের পাদদেশকে কেন্দ্র করে। বড় এই প্রকল্পের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করতে চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাহাড়কে ‘স্লোপ’ বা ঢালু করা হচ্ছে। এখানে পাহাড় কাটা বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে না।

তারপরও পাহাড় ড্রেজিং করতে হলেও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে কিন্তু নানান সীমাবদ্ধতার কারণে তা নেয়া হয়নি। অচিরেই পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করতে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট-ইআইএ জমা দেওয়া হবে। পরিবেশে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, একটি পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক অংশ কেটে ফেলেছে চমেক কর্তৃপক্ষ। দিনে রাতে এক্সেভেটর লাগিয়ে গেত কয়েকমাস ধরে প্রকাশ্যে এই পাহাড়টিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। অধিকাংশ বিদেশি ফাণ্ডে পরিচালিত বড় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব না দেয়ায় বিদেশি দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন পরিবেশকর্মীরা।

প্রকল্পের চীনা প্রতিনিধি দলের প্রধান মে ইইউ চ্যং বলেন, পাহাড়টা দেখার পর মনে হয়েছে- পাশে ভবন হলে জায়গাটি নিরাপদ থাকবে না। কারণ ভবনের বেইজ করার সময় পাহাড়টি ধসে পড়ার আশংকা থাকায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সয়েল নেইলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাহাড়টি ড্রেসিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার ফারমিন এলাহী অভিযোগ করেন, গত বছর প্রকল্পের শুরুতে চমেক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছিল। ওই সময় পাহাড় রক্ষা করে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। এই ধরনের প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত প্রভাব পর্যালোচনা (ইআইএ) করতে হয়। কিন্তু এই প্রকল্পে ইআইএ না থাকার বিষয়টি পরিবেশ কর্মীদের হতাশ করেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত