ভারতের পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই গোমতী

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৩২

কুমিল্লায় দুদিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলের কারণে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে গোমতী নদীর পানি। তবে আর তিন ফুট অতিক্রম করলেই ছুঁয়ে যাবে বিপদসীমা।

বিজ্ঞাপন

এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতীর পানি ২ মিটারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার। ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গোমতী নদীর টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু স্থানে চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। চরের বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে। মানুষ তাদের ঘরের মালামাল নদীর বেড়িবাঁধের উপর সরিয়ে নিচ্ছে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান দৈনিক আমার দেশকে বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে সারাদিন বৃষ্টি হলে বিকেল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

আদর্শ সদর উপজেলা ডুমুরিয়া এলাকার বাসিন্দা শামসুল হক মেম্বার বলেন, রাতে পানি কম বাড়লেও সকালে ভারী বৃষ্টির কারণে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । ঘরের কাছে পানি চলে আসায় মালামালগুলো নদীর বাঁধের উপর রাখার ব্যবস্থা করতেছি । আর যদি দুই তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে ঘরের মালামাল সব নষ্ট হয়ে যাবে ।

বুড়িচং উপজেলা কিং বাজেহোরা এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, গত বছরের বন্যায় আমাদের চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে গিয়েছিল । নতুন করে ব্রিজ করলেও এখনো উদ্বোধন করা হয়নি । আমাদের গ্রামটি গোমতী চরের ভেতরে । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের চারদিকে পানি উঠে গিয়েছে । আমাদের গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক গরু আছে । এগুলো কিভাবে বাঁধে নিয়ে যাব এই চিন্তায় আছি । উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি ।

এ বিষয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির হোসেন বলেন, সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে । আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে । আমাদের স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আজকে সারাদিন ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে লঘুচাপ আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য আবহাওয়ার একই পূর্বাভাস রয়েছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বন্যার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও জিআর চাল মজুত আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত