রাঙ্গুনিয়ায় ৯ মাসে ৯ ওসির বদল: জনমনে ‘অস্বস্তি’

উপজেলা প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ২০: ২৫
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ২০: ৩০

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দক্ষিণ থানা ও মডেল থানায় গত ৯ মাসে ৯ ওসি রদবদলের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রশাসনের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বদলির ফলে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদ শূন্য আছে।

বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে’ ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর থানা দুটিতে ওসি পদে ঘন ঘন বদলি হচ্ছে। সর্বশেষ মডেল থানায় যোগদান করেন মো. ওমর আলী। ২৫ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ ওঠায় তার ছবিসংবলিত মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।


অবশ্য ওসি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছিলেন। তবে মানববন্ধনের পরদিনই ১৮ মে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম তাকে বদলি করেন। বদলির পর থেকেই রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসির পদ শূন্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কবীর মৃধা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এএসপি জানান, এখনো থানায় কাউকে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে একজন উপপরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, এই সমস্যা সৃষ্টি হয় ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে। ৮ সেপ্টেম্বর ওসি চন্দন কুমারকে পিবিআইতে এবং দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মীর্জা হাছানকে সিআইডিতে বদলি করা হয়। তাদের স্থলে দক্ষিণে নজরুল ইসলাম এবং মো. কামরুজ্জামানকে মডেল থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তবে এসব নিয়োগও স্থায়িত্ব হয়নি। দক্ষিণের ওসি নজরুল ইসলাম কয়েক দিন পর বদলি হন। এ সময় যোগ দেন আহসান হাবীব।

পক্ষপাতিত্ব নেওয়ায় তাকেও বদলি করে মো. জাহেদুল ইসলাম নামে একজনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একই নিয়মে মডেল থানায় ওসি কামরুজ্জামানও বদলি হন। তার স্থলে সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম যোগ দেন। চলতি বছরের এই দুই ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম এবং মো. জাহেদুল ইসলামকেও বদলি করা হয়েছিল। এর পরে মো. মোস্তফা কামাল খান রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় এবং এটিএম সিফাতুল মাজদারকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মোস্তফা কামাল খান মডেল থানায় যোগদানের এক সপ্তাহের মধ্যে বদলি হলে পদটি আবার শূন্য হয় এবং প্রায় দুই মাসের মতো থানার ওসি (তদন্ত) সুজন হালদার অতিরিক্ত ওসির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বর্তমানে ওসির পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মরত আছেন দারোগা। সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, উপজেলার দুই থানায় ঘন ঘন ওসি বদলির বিষয়টি ভালো লক্ষণ নয়। বর্তমানে উপজেলার মডেল থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। তারা আরো বলেন, এই দুই থানার ওসিদের বদলি করার বিষয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত