
ইব্রাহিম মোস্তফা (কক্সবাজার) উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, সরকারি বনভূমিতে অনুমতি ছাড়া লাইন স্থাপন, বন্যপ্রাণীর মৃত্যু এবং দালালচক্রের দৌরাত্ম্যে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। এ ঘটনায় সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কাইজার নূরের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বনভূমিতে ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উখিয়ার হরিণমারা, দৌছড়ি, মধুরছড়া, থাইংখালী, পালংখালী মরিচ্যা ও রত্নাপালংসহ বিভিন্ন এলাকায় এই সংযোগ অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এতে বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ছয়টি বন্য হাতি মারা গেছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই দুটি হাতির মৃত্যু ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগের কারণে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনে ঘন ঘন বিপর্যয় ঘটছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৩০ বার ফল্ট হওয়ায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকছে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তত্ত্বাবধানে গত দেড় বছরে বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ তালিকায় সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নতুন সংযোগ নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অনেক সময় গ্রাহকদের বাধ্য হয়ে দালালদের মাধ্যমে সংযোগ নিতে হচ্ছে।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্তত ১ হাজার ৫০০ অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। বনবিভাগ এসব সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য একাধিকবার চিঠি দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা কুতুপালংয়ের মন্নান বলেন, ‘আমরা মিটারের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করি। অথচ অনুমতি ছাড়া টাকা দিয়ে অবৈধ সংযোগ পেয়ে যায় অনেকে। ডিজিএম নিজেই এসব অনুমোদন দেন।’
রাজাপালংয়ের বাসিন্দা আবদুল গণির অভিযোগ, ‘অসাধু ব্যক্তিদের কারণে এলাকায় বারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিলেও দুর্নীতির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী বলেন, ‘অবৈধ সংযোগের কারণে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে। দ্রুত এসব বন্ধ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, ‘বনভূমিতে দেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বারবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। বরং সরকারি পাহাড়েও সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিজিএম কাইজার নূর। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই সংযোগ দিচ্ছি। কিছু পুরোনো লাইন এখনো রয়ে গেছে। বন বিভাগের চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে। যৌথ অভিযানে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, সরকারি বনভূমিতে অনুমতি ছাড়া লাইন স্থাপন, বন্যপ্রাণীর মৃত্যু এবং দালালচক্রের দৌরাত্ম্যে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। এ ঘটনায় সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কাইজার নূরের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বনভূমিতে ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উখিয়ার হরিণমারা, দৌছড়ি, মধুরছড়া, থাইংখালী, পালংখালী মরিচ্যা ও রত্নাপালংসহ বিভিন্ন এলাকায় এই সংযোগ অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এতে বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ছয়টি বন্য হাতি মারা গেছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই দুটি হাতির মৃত্যু ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগের কারণে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনে ঘন ঘন বিপর্যয় ঘটছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৩০ বার ফল্ট হওয়ায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকছে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তত্ত্বাবধানে গত দেড় বছরে বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ তালিকায় সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নতুন সংযোগ নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অনেক সময় গ্রাহকদের বাধ্য হয়ে দালালদের মাধ্যমে সংযোগ নিতে হচ্ছে।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্তত ১ হাজার ৫০০ অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। বনবিভাগ এসব সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য একাধিকবার চিঠি দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা কুতুপালংয়ের মন্নান বলেন, ‘আমরা মিটারের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করি। অথচ অনুমতি ছাড়া টাকা দিয়ে অবৈধ সংযোগ পেয়ে যায় অনেকে। ডিজিএম নিজেই এসব অনুমোদন দেন।’
রাজাপালংয়ের বাসিন্দা আবদুল গণির অভিযোগ, ‘অসাধু ব্যক্তিদের কারণে এলাকায় বারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিলেও দুর্নীতির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী বলেন, ‘অবৈধ সংযোগের কারণে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে। দ্রুত এসব বন্ধ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, ‘বনভূমিতে দেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বারবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। বরং সরকারি পাহাড়েও সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিজিএম কাইজার নূর। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই সংযোগ দিচ্ছি। কিছু পুরোনো লাইন এখনো রয়ে গেছে। বন বিভাগের চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে। যৌথ অভিযানে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২২ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৪১ মিনিট আগে
স্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে