পানছড়িতে টাকা হলে মিলে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা

উপজেলা প্রতিনিধি,পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ২২

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নে ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হালিমা বেগম এবং তার সহযোগী আবুল কাসেম (মগা কাসেম)।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ অনুযায়ী, তারা ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে ভাতার কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রায় শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে।

কিছু ক্ষেত্রে চাপের মুখে টাকা ফেরত দিলেও বেশিরভাগ অসহায় পরিবার টাকা ফেরত পায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের অনিয়মের কারণে প্রকৃত যোগ্যরা সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ভুক্তভোগীদের বক্তব্য জরিনা আক্তার (২৫): মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করানোর নামে ৫,০০০ টাকা নিলেও কার্ড পাননি, টাকা ফেরতও মেলেনি।

রবিউল ইসলাম, মালেকা বেগম, ফিরোজাসহ আরো অনেকে বলেন— ভাতা পেতে হলে স্থানীয় মেম্বারদের মাধ্যমে টাকা দিতে হয়।

অভিযুক্তদের বক্তব্য, হালিমা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।’

তিনি স্বীকার করেন, মগা কাসেম তার স্বামীর বন্ধু এবং কিছু কাজ তিনি করিয়ে দিয়েছেন।

সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ শেষে ফেরার পর তিনি সমঝোতার চেষ্টা করেন এবং বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের ফেরত দেয়া হবে, শুধু যেন নিউজ প্রকাশ না করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছেন এবং টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করবেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের সামনেও এক অসহায় মহিলা নুরজাহান এসে জানান, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য টাকা দিয়েছেন কিন্তু কার্ড পাননি।

স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। অসচেতন জনগণকে টার্গেট করে কিছু জনপ্রতিনিধি প্রতারণামূলক উপায়ে অর্থ আদায় করছেন। সচেতনতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো না গেলে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হবে।

প্রবীণ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের সামাজিক উন্নয়নের এসব কর্মসূচি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার, যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয় ‘

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত