চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুস্তমপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে সিটি গ্রুপের পণ্য বিক্রয় প্রতিনিধি রুহুর আমিন হত্যার প্রধান আসামি মো. রফিকুল ইসলাম রবিন ওরফে রবিন ডাকাতকে (৩১) আটক করেছে র্যাব। ১৮ নভেম্বর র্যাবের কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব-১১ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মো. রফিকুল ইসলাম রবিনকে আটক করে। রবিন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চান্দিরগাঁও গ্রামের হাজী শামসুন নুর পটোয়ারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। অধিকাংশ মামলাই ডাকাতি ও দস্যুতার। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ থানার দুটি এবং বাকি ১৩টি মামলা লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ ও সদর থানার।
র্যাবের অনুসন্ধান ও রবিনের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি মতে, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ালি গ্রামের মিজি বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে রুহুল আমিন (৩৭) সিটি গ্রুপের বেঙ্গল পণ্যের ফরিদগঞ্জের বিক্রয় প্রতিনিধি। তিনি দিনের বেলায় ডিপো থেকে পণ্য নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বিক্রি করে রাতে টাকা জমা দিতেন। ১১ নভেম্বর রাতে রুহুল আমিন বিভিন্ন স্থানে পণ্য বিক্রি করে রাতে টাকা নিয়ে ডিলারের কাছে রওনা দেন। এ সময় পথে ডাকাত রবিন ও সহযোগীরা পথরোধ করে তার। পরে টাকা ছিনতাই করে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টাকালে রুহুল আমিন তাদের পিছু নেয়।
একপর্যায়ে রুস্তমপুর এলাকার সমিতি পোলের গোড়া নামক স্থানে রুস্তমপুরগামী পাকা রাস্তার ওপর লোকজন দেখে রুহুল আমিন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় ডাকাত রবিন রুহুল আমিনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে রুহুল আমিন নিহত হন। ১৩ নভেম্বর রুহুল আমিনের বাবা মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, র্যাবের হাতে রবিন ডাকাত আটকের কথা জেনেছি। র্যাব হস্তান্তর করলে অন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

