মো. শাহ্ আলম শফি, কুমিল্লা (দক্ষিণ)
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া কুমিল্লার বুড়িচংয়ের পদ্মবিল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ।
জানা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের এই স্থানটিতে সুদীর্ঘ কাল থেকে লাল, সাদা, হলুদ পদ্ম ফুটে। এই পদ্ম দর্শনার্থীদের নজরে আসে ২০১৮ সালের বর্ষায়। পরের বছর ২০১৯ সালে বিলের নানা রঙের পদ্ম স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশে জানাজানি হয়। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে বিলের সৌন্দর্য অবলোকনে। এতে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন এগিয়ে আসে। গঠন করা হয় পদ্মবিল সংরক্ষণ কমিটি। পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অনেকে এসে বিলের পদ্ম সংরক্ষণে নানাভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। ২০২০ সালে বিলে ছুটে আসেন বেঙ্গল প্লানেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সিকদার একে সামসুদ্দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাখা হরি সরকার। তারা এই বিলের দুর্লভ প্রজাতির হলুদ পদ্মের মূল, কাণ্ড, শাখা, ফুল গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগসহ আমেরিকায় প্রেরণ করেন। ২০২১ সালে বিলটির সার্বিক সহযোগিতায় ইউনেস্কো এগিয়ে এলে বিলের প্রবেশ পথসহ বেশ কয়েকটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, হলুদ পদ্মের বিশেষ বিশেষ জায়গাজুড়ে লাল পতাকা টানানো হয়। পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়। দর্শনার্থী বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। বিলে কমপক্ষে দুই ডজন খণ্ডকালীন মাঝি নৌকার বিনিময়ে দর্শনার্থীদের কল্যাণে রোজগারে নেমে পড়েন। এ সময় প্রশাসনের লোকজনও ঘনঘন বিলে আসার সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা তোড়জোড় দেখা গেছে। সে সময় কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পিকনিক স্টাইলে বিনোদন পেতে এই বিলের সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে বিলটি অযত্নে-অবহেলায় অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেখার যেন কেউ নেই।
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্বপাশজুড়ে রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে বিলটির অবস্থান। এর পূর্বে পান্ডি, পশ্চিমে রাজাপুর, দক্ষিণে গাজীপুর ও উত্তরে দক্ষিণ গ্রাম। প্রায় ২৫ একর আয়তনের বিলটির পুরোটাই ব্যক্তিমালিকানাধীন। জমির মালিকরা এই বিলে ধানের পাশাপাশি বর্ষার অতিরিক্ত পানিতে মাছও চাষ করেন। শীত পরবর্তী মৌসুমি বৃষ্টির শুরুতেই বিলে পদ্ম ফুল ফুটে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের চারদিকে লাল, সাদা হলুদ পদ্মের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। স্থানীয় দক্ষিণ গ্রামের ইব্রাহিম জানান, অনেক আগ থেকেই এই বিলে পদ্ম ফোটে। তবে ২০১৯ সালে বিলজুড়ে পদ্মের দেখা মিলে। এ সময় সারা দেশ থেকে দর্শনার্থীরা হলুদ পদ্ম দেখতে ছুটে আসেন। গঠন করা হয় স্থানীয় ১১ তরুণকে নিয়ে ‘পদ্ম বিল সংরক্ষণ কমিটি’। সিদ্ধান্ত হয় বিলের পদ্ম সংরক্ষণ, দর্শনার্থী বা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নৌকার ঘাট নির্ধারণ, নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে নৌকা নিয়ে বিল পরিদর্শন, বিলের জমি অধিগ্রহণের। এ নিয়ে সে সময় চার দফা বৈঠক করে এই কমিটি। নৌকা নিয়ে চলাচলের কারণে বিলের ফুল নষ্ট হওয়ায় সরকারিভাবে নৌকার মাঝিদের নৌকা পরিচালনা বন্ধসহ সাহায্য-সহযোগিতাও করা হয়। কিন্তু ২০২৩ এর পর থেকে বিলটি আগের অবস্থানে ফিরে যায়। অধিগ্রহণের আশ্বাস কার্যকর না হওয়ায় জমির মালিকপক্ষ চাষাবাদসহ মাছ ধরা, বিল থেকে কচুরিপানা, শুষ্ক মৌসুমে ঘাস কাটা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকে। এক সময় ইউনেস্কোর ঝুলানো সাইনবোর্ড, লাল পতাকা, নির্দেশনা ইত্যাদি তুলে ফেলে দেয়। অসচেতন দর্শনার্থীরা বিল পরিদর্শনে গিয়ে মাঝিদের সহযোগিতায় অর্থের বিনিময়ে হলুদসহ অন্যান্য পদ্ম ছিঁড়ে নেয়। ফলে ২০২৩ পরবর্তী বিলটি একেবারেই অভিভাবকশূন্য হয়ে আছে।
বিলের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. রাখা হরি সরকার বলেন, আমি এবং বেঙ্গল প্লানেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সিকদার একে সামসুদ্দিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়েও একটা প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি হলুদ পদ্ম টিকিয়ে রাখতে বিলটি সংরক্ষণসহ দর্শনার্থীদের যাতায়াত ও অন্যান্য সুবিধায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাব।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া কুমিল্লার বুড়িচংয়ের পদ্মবিল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ।
জানা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের এই স্থানটিতে সুদীর্ঘ কাল থেকে লাল, সাদা, হলুদ পদ্ম ফুটে। এই পদ্ম দর্শনার্থীদের নজরে আসে ২০১৮ সালের বর্ষায়। পরের বছর ২০১৯ সালে বিলের নানা রঙের পদ্ম স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশে জানাজানি হয়। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে বিলের সৌন্দর্য অবলোকনে। এতে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন এগিয়ে আসে। গঠন করা হয় পদ্মবিল সংরক্ষণ কমিটি। পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অনেকে এসে বিলের পদ্ম সংরক্ষণে নানাভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। ২০২০ সালে বিলে ছুটে আসেন বেঙ্গল প্লানেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সিকদার একে সামসুদ্দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাখা হরি সরকার। তারা এই বিলের দুর্লভ প্রজাতির হলুদ পদ্মের মূল, কাণ্ড, শাখা, ফুল গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগসহ আমেরিকায় প্রেরণ করেন। ২০২১ সালে বিলটির সার্বিক সহযোগিতায় ইউনেস্কো এগিয়ে এলে বিলের প্রবেশ পথসহ বেশ কয়েকটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, হলুদ পদ্মের বিশেষ বিশেষ জায়গাজুড়ে লাল পতাকা টানানো হয়। পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়। দর্শনার্থী বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। বিলে কমপক্ষে দুই ডজন খণ্ডকালীন মাঝি নৌকার বিনিময়ে দর্শনার্থীদের কল্যাণে রোজগারে নেমে পড়েন। এ সময় প্রশাসনের লোকজনও ঘনঘন বিলে আসার সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা তোড়জোড় দেখা গেছে। সে সময় কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পিকনিক স্টাইলে বিনোদন পেতে এই বিলের সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে বিলটি অযত্নে-অবহেলায় অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেখার যেন কেউ নেই।
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্বপাশজুড়ে রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে বিলটির অবস্থান। এর পূর্বে পান্ডি, পশ্চিমে রাজাপুর, দক্ষিণে গাজীপুর ও উত্তরে দক্ষিণ গ্রাম। প্রায় ২৫ একর আয়তনের বিলটির পুরোটাই ব্যক্তিমালিকানাধীন। জমির মালিকরা এই বিলে ধানের পাশাপাশি বর্ষার অতিরিক্ত পানিতে মাছও চাষ করেন। শীত পরবর্তী মৌসুমি বৃষ্টির শুরুতেই বিলে পদ্ম ফুল ফুটে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের চারদিকে লাল, সাদা হলুদ পদ্মের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। স্থানীয় দক্ষিণ গ্রামের ইব্রাহিম জানান, অনেক আগ থেকেই এই বিলে পদ্ম ফোটে। তবে ২০১৯ সালে বিলজুড়ে পদ্মের দেখা মিলে। এ সময় সারা দেশ থেকে দর্শনার্থীরা হলুদ পদ্ম দেখতে ছুটে আসেন। গঠন করা হয় স্থানীয় ১১ তরুণকে নিয়ে ‘পদ্ম বিল সংরক্ষণ কমিটি’। সিদ্ধান্ত হয় বিলের পদ্ম সংরক্ষণ, দর্শনার্থী বা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নৌকার ঘাট নির্ধারণ, নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে নৌকা নিয়ে বিল পরিদর্শন, বিলের জমি অধিগ্রহণের। এ নিয়ে সে সময় চার দফা বৈঠক করে এই কমিটি। নৌকা নিয়ে চলাচলের কারণে বিলের ফুল নষ্ট হওয়ায় সরকারিভাবে নৌকার মাঝিদের নৌকা পরিচালনা বন্ধসহ সাহায্য-সহযোগিতাও করা হয়। কিন্তু ২০২৩ এর পর থেকে বিলটি আগের অবস্থানে ফিরে যায়। অধিগ্রহণের আশ্বাস কার্যকর না হওয়ায় জমির মালিকপক্ষ চাষাবাদসহ মাছ ধরা, বিল থেকে কচুরিপানা, শুষ্ক মৌসুমে ঘাস কাটা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকে। এক সময় ইউনেস্কোর ঝুলানো সাইনবোর্ড, লাল পতাকা, নির্দেশনা ইত্যাদি তুলে ফেলে দেয়। অসচেতন দর্শনার্থীরা বিল পরিদর্শনে গিয়ে মাঝিদের সহযোগিতায় অর্থের বিনিময়ে হলুদসহ অন্যান্য পদ্ম ছিঁড়ে নেয়। ফলে ২০২৩ পরবর্তী বিলটি একেবারেই অভিভাবকশূন্য হয়ে আছে।
বিলের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. রাখা হরি সরকার বলেন, আমি এবং বেঙ্গল প্লানেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সিকদার একে সামসুদ্দিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়েও একটা প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি হলুদ পদ্ম টিকিয়ে রাখতে বিলটি সংরক্ষণসহ দর্শনার্থীদের যাতায়াত ও অন্যান্য সুবিধায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাব।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১০ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৩৬ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে