চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ২৭
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৬

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আটটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণ পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার সকাল দশটায় ইপিজেডের প্রধান গেটে আনুমানিক এক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করার জন্য জড়ো হয়৷ এসময় তারা কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। জানা গেছে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থানার ওসি জামির হোসেন মিয়া। তিনি জানান, সকাল দশটার দিকে মূল ফটকে ৮০০-১০০০ শ্রমিক জড়ো হয়। আটটি কারখানায় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। আমরা নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের বিষয়টি বুঝানোর পর সরিয়ে দিয়েছি। তারাও আমাদের অনুরোধে স্থান ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় ইপিজেডে প্যাসিফিক জিন্সের শ্রমিকদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও এর আগে থেকে বেশ কিছু দিন ধরে ছোটখাটো সংঘর্ষ চলছিল সেখানে। শ্রমিক বিক্ষোভের পরপর কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর রাতে মালিক পক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। যা শনিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। কাজ বন্ধ রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ারকওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন, জিন্স ২০০০।

কারখানা বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে, কিছু শ্রমিক ১৪ অক্টোবর কাজ বন্ধ করে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিলেও কারাখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে এবং ১৫ ও ১৬ অক্টোবরও অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, কারখানা ভাঙচুর এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শারীরিকভাবে আঘাত করে। নোটিশে আরও বলা হয়, কারখানার শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের-২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের পর্যায়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে এবং শ্রমিকদের বাধার কারণে কারাখানা কার্যক্রম চালু রাখা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইপিজেডের ভেতরের শিল্প পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলাটি বর্তমানে শিল্প পুলিশ তদন্ত করছে। মামলার তথ্য-সংগ্রহ নিয়ে শ্রমিকদের এক পক্ষের অসন্তোষ। শ্রমিকদের দাবি, তাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আটটি কারখানায় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক রয়েছে।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত