চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে পাঁচ থেকে আট টাকা।
এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষ। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছয়টি করপোরেট গ্রুপ উত্তরাঞ্চলের কিছু মিলার সিন্ডিকেট করে এই সঙ্কট তৈরি করেছে।
নগরীর বদ্দারহাট, চাক্তাই, পাহাড়তলী ও চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত। সাধারণ মিনিকেট চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬২ থেকে ৬৩ টাকা। মাঝারি মানের স্বর্ণা ও ব্রি আর-২৮ চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কাটারি ভোগের দাম কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকায়। মোটা চাল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণা চালের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭–৫৮ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৫৪–৫৫ টাকার মধ্যে।
বহদ্দারহাটের মক্কা ট্রেডার্সে চাল কিনতে আসা শ্রমজীবী কুলসুম বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে ৫ কেজি চাল কিনতাম, এখন ৩ কেজিও নিতে কষ্ট হয়। সংসার চালানোই দায় হয়ে গেছে।
পাহাড়তলীর ‘খাজা ভাণ্ডার’ দোকানের মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর, নওগাঁ, কুমিল্লা ও আশুগঞ্জ থেকে চাল আনেন তারা। সে সব জায়গায় দাম বাড়ায় ৫০ কেজির একেকটি বস্তা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তার ভাষায়, পুরোনো চাল নেই, নতুন চাল এসেছে। মিল মালিকরা বলছেন, তারা এবার ধান কিনেছেন বেশি দামে তাই চাপ পড়ে আমাদের ওপর।
চালবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিক ও মজুতদারদের কারসাজির কারণেই বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা জানান, চালকল মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
পাহাড়তলী চালবাজার বণিক সমিতির সেক্রেটারি রেজা খান জানান, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অতি মজুদের কারণেও বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান, এসিআই, বসুন্ধরা, প্রাণ, সিটি, আকিজ ও স্কয়ার এই ছয়টি করপোরেট গ্রুপ বেশি দামে ধান কিনে চাল বাজারে ছেড়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে উত্তরাঞ্চলের কিছু মিল মালিক। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে পড়ছেন, বাজারে ভারসাম্য থাকছে না।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোছাইন বলেন, সরকার যদি সারা বছর বাজার নজরদারিতে রাখে এবং ধানের সংগ্রহ ও মজুদে নীতিমালা প্রণয়ন করে, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভয়াবহ হবে।
এমএস
চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে পাঁচ থেকে আট টাকা।
এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষ। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছয়টি করপোরেট গ্রুপ উত্তরাঞ্চলের কিছু মিলার সিন্ডিকেট করে এই সঙ্কট তৈরি করেছে।
নগরীর বদ্দারহাট, চাক্তাই, পাহাড়তলী ও চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত। সাধারণ মিনিকেট চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬২ থেকে ৬৩ টাকা। মাঝারি মানের স্বর্ণা ও ব্রি আর-২৮ চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কাটারি ভোগের দাম কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকায়। মোটা চাল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণা চালের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭–৫৮ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৫৪–৫৫ টাকার মধ্যে।
বহদ্দারহাটের মক্কা ট্রেডার্সে চাল কিনতে আসা শ্রমজীবী কুলসুম বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে ৫ কেজি চাল কিনতাম, এখন ৩ কেজিও নিতে কষ্ট হয়। সংসার চালানোই দায় হয়ে গেছে।
পাহাড়তলীর ‘খাজা ভাণ্ডার’ দোকানের মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর, নওগাঁ, কুমিল্লা ও আশুগঞ্জ থেকে চাল আনেন তারা। সে সব জায়গায় দাম বাড়ায় ৫০ কেজির একেকটি বস্তা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তার ভাষায়, পুরোনো চাল নেই, নতুন চাল এসেছে। মিল মালিকরা বলছেন, তারা এবার ধান কিনেছেন বেশি দামে তাই চাপ পড়ে আমাদের ওপর।
চালবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিক ও মজুতদারদের কারসাজির কারণেই বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা জানান, চালকল মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
পাহাড়তলী চালবাজার বণিক সমিতির সেক্রেটারি রেজা খান জানান, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অতি মজুদের কারণেও বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান, এসিআই, বসুন্ধরা, প্রাণ, সিটি, আকিজ ও স্কয়ার এই ছয়টি করপোরেট গ্রুপ বেশি দামে ধান কিনে চাল বাজারে ছেড়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে উত্তরাঞ্চলের কিছু মিল মালিক। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে পড়ছেন, বাজারে ভারসাম্য থাকছে না।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোছাইন বলেন, সরকার যদি সারা বছর বাজার নজরদারিতে রাখে এবং ধানের সংগ্রহ ও মজুদে নীতিমালা প্রণয়ন করে, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভয়াবহ হবে।
এমএস
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে