৮ দিন পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, কার্যকর কাল

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ১৬
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫১

খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে তা কাযকর হবে। ৮ দিন বলবৎ থাকার পর আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

প্রত্যাহারের আদেশে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উল্লেখ করেন- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রত্যাহারের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও আগে থেকেই সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়িতে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে জুম্ম-ছাত্র জনতার ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। ওই দিন সকাল থেকেই পাহাড়ের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সহিংসতা চালায় অবরোধকারীরা। এ সময় অনেক বাড়িঘরে আগুন দেয় তারা।

এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

অন্যদিকে, একইদিন বিকেল ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায়ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই উপজেলায় পরদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ সমাবেশকালে সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনায় তিনজন নিহত এবং একজন মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য এবং অনেক পাহাড়ী ও বাঙালি আহত হয়।

কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এত বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটানো হলেও পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে জানা যায়- তাতে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, পাহাড়কে অশান্ত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর লক্ষ্যে ইউপিডিএফ উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে কথিত ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও ওই সহিংসতার জন্য ইউপিডিএফ-কে দায়ী করা হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত