চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের হাতে চীনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ঝাং জিং।
মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) এলাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় শেষে তিনি এসব উপহার প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় ঝাং জিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক ভালোবাসার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
তিনি পূর্বে দেয়া জামায়াতের এক বক্তব্য স্মরণ করেন , যাতে বলা হয়েছে -‘ভারত কখনোই বাংলাদেশের শুভকামনা করে না। তারা এখনো বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা) নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দু’বার তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলেও ভারত সাড়া দেয়নি। তবে চীন সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’
এ সময় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক গবেষণা বিশেষজ্ঞ সুরাইয়া আক্তারও বক্তব্য দেন।
চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন।
বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ভিপি সাহাব উদ্দিন ও পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা ইব্রাহিমসহ অন্যান্য নেতারা।
পরবর্তীতে চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের খোঁজখবর নেন। এর মধ্যে ছিলেন— মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের শহীদ জামসেদুর রহমান মিয়াজী, শ্রমজীবী শাকিল হোসেন, পৌর এলাকার চান্দিশকরা গ্রামের পুলিশের গুলিতে শহীদ সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিবার, নির্যাতনের শিকার সুরুজ জামাল, আওয়ামী লীগের নির্যাতনে দৃষ্টিশক্তি হারানো গুণবতী ইউনিয়নের চাপাচৌ গ্রামের জহিরুল ইসলামের পরিবার।
চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের হাতে উপহার সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

