আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

থমথমে চট্টগ্রাম নগরী: মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

চট্টগ্রাম ব্যুরো

থমথমে চট্টগ্রাম নগরী: মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক জুলাই বিপ্লবের সম্মুখভাগের নায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের মতো বৃহস্পতিবার রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে। রাতেই পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এসব ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান রয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত নয়টা ৪০ মিনিটে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০ টায় নগরের দুই নম্বর গেট, বিপ্লব উদ্যানের আশেপাশে কয়েক হাজার ছাত্র জনতা জড়ো হতে শুরু করে৷ এসময় তারা সেখানে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে এবং হাসিনাসহ হাদির হত্যাকারীদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানান৷ এছাড়াও বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আরেকটি অংশ নগরের চশমাহিলে পলাতক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর চালায়৷

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে রাত সাড়ে দশটায় নগরের খুলশীতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার ছাত্র জনতা। এসময় তারা সড়কে বসে টানা রাত ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরে রাত দেড়টার দিকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জনের বাসভবনে হামলার চেষ্টা হয়৷ এসময় উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে বাসভবনের দিকে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একপর্যায়ে সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসভবনে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ আসেন৷ এসময় তিনি সহকারী হাইকমিশনারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন৷ বাসভবনের আশেপাশে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়৷ এদিকে নগরের হালিশহরেও বিক্ষোভ মিছিল করে আপ বাংলাদেশসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এসব ঘটনায় নগরে শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ বিশেষ করে খুলশী, চশমা হিল, দুই নম্বর গেট, হালি শহর৷ কাজির দেউড়ি, সিএমপি এলাকায় দোকানপাট তুলনামূলক কম খোলা হয়েছে। এসব এলাকার দোকানি ও বাসিন্দাদের চোখে মুখে আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ চশমা হিলে আগুন ও ভাঙচুর হওয়ায় সেখানে কোন সাধারণ মানুষ বের হয়নি৷ নগরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল আগের দিনের তুলনায় কম৷ মোড়ে মোড়ে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাবের টহল রয়েছে। শহরজুড়ে সেনাবাহিনীর টহলও রয়েছে।

নগরের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইডি কার্ড ব্যতিত বাইরে আসছেন না। সন্দেহজনক যানবাহন ও ব্যক্তিকে তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে৷

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন