সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক ২১টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো বা অফডকে কার্যকর হওয়া নতুন শুল্ক নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একতরফা নির্ধারণ করা এই চার্জ পরিশোধ না করার ঘোষণা দিয়েছে অফডকের সবচেয়ে বড় কাস্টমার বিজিএমইএ ও শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে, নতুন নির্ধারণ করা শুল্ক থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে দুই দফায় উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আরো দু-একবার চেষ্টার পর সংকটের সমাধান না হলে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অফডক সূত্র জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কন্টেইনার স্টাফিং, গ্রাউন্ড রেন্ট, লিফট অফ-লিফট অন, ডকুমেন্টেশন এবং বন্দর থেকে অফডকগামী পরিবহনের নতুন শুল্ক কার্যকর করেছে ২১টি বেসরকারি অফডক। আগের নির্ধারিত চার্জের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ থেকে ৬৩ শতাংশ চার্জ বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন এই চার্জ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত করাও শুরু করেছে অফডক। ব্যবসায়ীদের দাবি নতুন এই ট্যারিফ কার্যকর হলে বছরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়বে আমদানি-রপ্তানি খাতে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, বন্দরের মধ্যস্থতায় বিকডার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সেখানে শুল্ক বাড়ানোর যৌক্তিকতা জানতে চাইলেও তারা যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। বন্দর কর্তৃপক্ষও ট্যারিফ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নির্ধারণ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষও অনুরোধ করেছে। কিন্তু বিকডা নতুন নির্ধারিত ট্যারিফে মাশুল আদায়ের সিদ্ধান্তে অনড়। এতে অমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, ২০১৬ সালের আইসিডি নীতিমালা অনুযায়ী শিপার-কনসাইনি-এমএলও-শিপিং এজেন্ট-ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিকডার ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি আছে। সেই কমিটির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে কোনো চার্জ নির্ধারণ করলে ট্রেডের ওপর প্রভাব পড়বে। এই বাস্তবতায় আলোচনা ছাড়া নতুন নির্ধারিত শুল্ক আদায় বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে জটিলতা নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
বিকডার সেক্রেটারি রুহুল আমিন শিকদার জানান, গত ৯ বছর ধরে ট্যারিফ কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। এই কমিটি সক্রিয় আছে কী না তাও জানা নেই। ২০২১ সালে তেলের দাম বৃদ্ধির পর একবার চার্জ সমন্বয় করা হয়েছিল। তখনও বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা ট্যারিফ কমিটির দোহাই দিয়েছিল। কিন্তু কমিটি কোনো কাজ করেনি। তাই ট্যারিফ কমিটির দোহাই দিয়ে নতুন চার্জ আদায় বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে খরচ বাড়ায় চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে শুল্ক পুনঃনির্ধারণের বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
নতুন নির্ধারিত শুল্ক অনুযায়ী ২০ ফুটি একটি কন্টেইনারের প্যাকেজ চার্জ ৯ হাজার ৯০০ টাকা করে নির্ধারণ করে হয়েছে। আগে যা ছিল ৬ হাজার ১২৭ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। ৪০ ফুটি কন্টেইনারের চার্জ ৮ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩ হাজার ২০০ টাকা, ৪০ ফুটি হাইকিউব কন্টেইনারের চার্জ ৮ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়েছে।
পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জিওএইচ কার্গোর চার্জও বাড়ানো হয়েছে, যেখানে ২০ ফুটি কন্টেইনারের জন্য ১১ হাজার ৯০০ টাকা, ৪০ ফুটি কন্টেইনারের জন্য ১৫ হাজার ২০০ টাকা এবং হাইকিউব কন্টেইনারের জন্য ১৬ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেফার কন্টেইনারের প্লাগইন চার্জ ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। ডকুমেন্টেশন চার্জ ২৭৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ টাকা, ২০ ফুটি খালি কন্টেইনার পরিবহন ১৭০৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা, সিএফএস স্টোরেজ প্রতিদিন ২৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ভিজিএম চার্জ আগে ছিল না, নতুন ট্যারিফে ১৭২০ টাকা নির্ধারণ করেছে বিকডা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সাল থেকে খালি কন্টেইনার উঠা-নামার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে অফডকগুলো। বর্তমানে শতভাগ রপ্তানিপণ্যের পাশাপাশি ৬৮ ক্যাটাগরির আমদানি পণ্যও হ্যান্ডলিং করছে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ। কন্টেইনারের হিসাবে বছরে ৭ লাখ ৭৭ হাজার রপ্তানি এবং ২ লাখ ৬৫ হাজার আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করছে এই সেক্টর।
চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক ২১টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো বা অফডকে কার্যকর হওয়া নতুন শুল্ক নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একতরফা নির্ধারণ করা এই চার্জ পরিশোধ না করার ঘোষণা দিয়েছে অফডকের সবচেয়ে বড় কাস্টমার বিজিএমইএ ও শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে, নতুন নির্ধারণ করা শুল্ক থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে দুই দফায় উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আরো দু-একবার চেষ্টার পর সংকটের সমাধান না হলে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অফডক সূত্র জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কন্টেইনার স্টাফিং, গ্রাউন্ড রেন্ট, লিফট অফ-লিফট অন, ডকুমেন্টেশন এবং বন্দর থেকে অফডকগামী পরিবহনের নতুন শুল্ক কার্যকর করেছে ২১টি বেসরকারি অফডক। আগের নির্ধারিত চার্জের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ থেকে ৬৩ শতাংশ চার্জ বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন এই চার্জ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত করাও শুরু করেছে অফডক। ব্যবসায়ীদের দাবি নতুন এই ট্যারিফ কার্যকর হলে বছরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়বে আমদানি-রপ্তানি খাতে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, বন্দরের মধ্যস্থতায় বিকডার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সেখানে শুল্ক বাড়ানোর যৌক্তিকতা জানতে চাইলেও তারা যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। বন্দর কর্তৃপক্ষও ট্যারিফ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নির্ধারণ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষও অনুরোধ করেছে। কিন্তু বিকডা নতুন নির্ধারিত ট্যারিফে মাশুল আদায়ের সিদ্ধান্তে অনড়। এতে অমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, ২০১৬ সালের আইসিডি নীতিমালা অনুযায়ী শিপার-কনসাইনি-এমএলও-শিপিং এজেন্ট-ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিকডার ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি আছে। সেই কমিটির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে কোনো চার্জ নির্ধারণ করলে ট্রেডের ওপর প্রভাব পড়বে। এই বাস্তবতায় আলোচনা ছাড়া নতুন নির্ধারিত শুল্ক আদায় বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে জটিলতা নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
বিকডার সেক্রেটারি রুহুল আমিন শিকদার জানান, গত ৯ বছর ধরে ট্যারিফ কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। এই কমিটি সক্রিয় আছে কী না তাও জানা নেই। ২০২১ সালে তেলের দাম বৃদ্ধির পর একবার চার্জ সমন্বয় করা হয়েছিল। তখনও বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা ট্যারিফ কমিটির দোহাই দিয়েছিল। কিন্তু কমিটি কোনো কাজ করেনি। তাই ট্যারিফ কমিটির দোহাই দিয়ে নতুন চার্জ আদায় বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে খরচ বাড়ায় চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে শুল্ক পুনঃনির্ধারণের বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
নতুন নির্ধারিত শুল্ক অনুযায়ী ২০ ফুটি একটি কন্টেইনারের প্যাকেজ চার্জ ৯ হাজার ৯০০ টাকা করে নির্ধারণ করে হয়েছে। আগে যা ছিল ৬ হাজার ১২৭ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। ৪০ ফুটি কন্টেইনারের চার্জ ৮ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩ হাজার ২০০ টাকা, ৪০ ফুটি হাইকিউব কন্টেইনারের চার্জ ৮ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়েছে।
পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জিওএইচ কার্গোর চার্জও বাড়ানো হয়েছে, যেখানে ২০ ফুটি কন্টেইনারের জন্য ১১ হাজার ৯০০ টাকা, ৪০ ফুটি কন্টেইনারের জন্য ১৫ হাজার ২০০ টাকা এবং হাইকিউব কন্টেইনারের জন্য ১৬ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেফার কন্টেইনারের প্লাগইন চার্জ ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। ডকুমেন্টেশন চার্জ ২৭৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ টাকা, ২০ ফুটি খালি কন্টেইনার পরিবহন ১৭০৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা, সিএফএস স্টোরেজ প্রতিদিন ২৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ভিজিএম চার্জ আগে ছিল না, নতুন ট্যারিফে ১৭২০ টাকা নির্ধারণ করেছে বিকডা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সাল থেকে খালি কন্টেইনার উঠা-নামার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে অফডকগুলো। বর্তমানে শতভাগ রপ্তানিপণ্যের পাশাপাশি ৬৮ ক্যাটাগরির আমদানি পণ্যও হ্যান্ডলিং করছে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ। কন্টেইনারের হিসাবে বছরে ৭ লাখ ৭৭ হাজার রপ্তানি এবং ২ লাখ ৬৫ হাজার আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করছে এই সেক্টর।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩৪ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে