চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সমাপনী পরীক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু পরীক্ষার প্রথমদিনেই দায়িত্ব পালনের সময় স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মগধরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকাকালীন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দিদারুল আলমকে দেখা যায় একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিতে। ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা জানান, অনুষ্ঠানস্থলে দলীয় প্রতীকযুক্ত ব্যানার, মাইকের প্রচারণা এবং নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সব মিলিয়ে এটি ছিল স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম আমার দেশকে বলেন, এটা নির্বাচনি প্রচারণা ছিলো না। একজন অসহায় পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠান ছিল। মানবিক বিবেচনায় আমি গিয়েছিলাম।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আসলাম খানের কাছে দিদারুল আলমের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, উনি আমার কাছ থেকে কোনো ছুটি বা অনুমতি নেননি। পরীক্ষা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের কেন্দ্রে অনুপস্থিতি অবশ্যই বিধিবহির্ভূত।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানস্থল সংলগ্ন এলাকার এক বাসিন্দা মনজুর (ছদ্মনাম) বলেন, অসহায়কে ঘর দেওয়া ভালো কথা। কিন্তু দলীয় প্রতীকযুক্ত ব্যানার আর নেতাদের উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায়, এটা আসলে নির্বাচনি প্রচারণারই অংশ।
এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন প্রধান শিক্ষক যদি দায়িত্বের সময়ই রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও পরীক্ষা পরিচালনার মান কিভাবে নিশ্চিত হবে?
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

