পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী

উপজেলা প্রতিনিধি, রাজস্থলী (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২: ২৪

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাঙামাটি রিজিয়ন (কাপ্তাই জোনের) অধীন রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পে উপজেলার গাইন্দ্যা ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যান ও কারবারিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হেডম্যান ও কারবারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের উদ্যোগে এবং ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে এই হেডম্যান ও কারবারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এসকে এম সাদমান, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শেখ জামাল উদ্দিন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিং মং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, দুই ইউনিয়নের ১৬ জন ইউপি সদস্যসহ উপজেলার সর্বমোট ১০২ জন হেডম্যান ও কারবারি এতে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং এখানে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে জাতি-ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এছাড়াও এলাকার শান্তিরক্ষা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সব স্তরের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি ও ব্যবহারনির্ভর শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে পারিবারিক পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ, যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস, অবৈধ কার্যকলাপ ও মাদকের ব্যবহার ও বিক্রয় রোধ করা, নিরাপদ পানির সংস্থান এবং গুরুত্ব বিবেচনায় পর্যায়ক্রমিকভাবে রাস্তাঘাট, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কার। শিশুস্বাস্থ্য ও প্রসূতিসেবায় বিশেষভাবে জোর দেয়া, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা এবং যুব সমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আয়োজন করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৮ বীর কর্তৃক কাপ্তাই জোনের রাজস্থলী সাবজোন ও বাঙ্গালহালিয়া সাব-জোনের দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল এই ক্যাম্পে আয়োজিত প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনটি শান্তিরক্ষা, উন্নয়ন সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সদা প্রস্তুতির অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে এলাকার সাধারণ জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্মেলন নিয়মিত আয়োজন করা হবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত