খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৪

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, পাহাড়ি ও বাঙালিদের সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার দুপুরে গুইমারা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানাতে এসে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাদের পুনবার্সন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে আমরা তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিব।

অবরোধকারীদের সঙ্গে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলে আমরাও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করব।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনা তুলে ধরে পাহাড়িদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে ইউপিডিএফ।

নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় এ সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যক্রম নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ গোষ্ঠী ভারতের ত্রিপুরায় অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে খাগড়াছড়িতে গিয়ে হামলা করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে কাজ করছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

অথচ যে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে জেলায় অবরোধ চলছে, এ রকম কোনো ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। মেডিকেল রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জনের অফিস থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের সরাসরি স্বীকার না করলেও কার্যালয়ের একজন তদন্ত কর্মকর্তা আমার দেশকে নিশ্চিত করেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি।

ডা. মোহাম্মদ ছাবের বলেন, আমরা তিন সদ্যদের কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে রেখেছি। এটি এসপিকে আজ জমা দেওয়া হবে। বিস্তারিত আপনারা সেখান থেকে জানতে পারবেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত