চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বৃদ্ধি: খরচ বাড়তে পারে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৮

চট্টগ্রাম বন্দরে সব পক্ষের আপত্তি উপেক্ষা করে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই মাশুল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনটি বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯৮৬ সালের পর দীর্ঘ ৪০ বছর কোনো মাশুল বৃদ্ধি করা হয়নি। তবে খরচ বৃদ্ধির কারণে সেবার মান বজায় রাখতে এবং আধুনিক আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে মাশুল বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অপরিহার্য ছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতি টন পণ্যের জন্য ০.৩০৬ ডলার, লাইটার ও ট্যাংকার ভ্যাসেলের জন্য ০.০১৭ ডলার ধার্য করা হয়েছে। ডেঞ্জারাস গুডস, ডেড ভ্যাসেল এবং লাইটারেজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২৫–৫০ শতাংশ চার্জ দিতে হবে। এছাড়া, নির্ধারিত সময়ের বেশি বন্দরে থাকা জাহাজের জন্য ৫% স্টে চার্জ আর পাইলটিং চার্জ ন্যূনতম ৮০০ ডলার নির্ধারিত হয়েছে।

ট্যাগ ব্যবহারের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট জাহাজের জন্য ৬১৫ ডলার, মাঝারি ১,২৩0 ডলার এবং বড় জাহাজের জন্য ২,০৫০ ডলার। কর্ণফুলী চ্যানেলের বাইরে এই খরচ প্রায় দ্বিগুণ। জাহাজে পানি সরবরাহ, ওয়েস্ট হ্যান্ডলিং এবং অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রেও নতুন মাশুল ধার্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি সেবার জন্য চার্জ ১৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা নতুন মাশুল বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমদানী-রপ্তানি ব্যবসা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। এই সময়ে একবারে এত বড় মাশুল বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহও একমত, তিনি বলেন, “প্রতিবছর ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করলে ব্যবসায় সহনশীলতা থাকতো। একবারে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি বড় প্রভাব ফেলবে।”

বন্দর সচিব ওমর ফারুখ জানান, “ব্যয় বৃদ্ধি এবং সেবার মান বজায় রাখার জন্য মাশুল বৃদ্ধির বিকল্প ছিল না। এটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে জরুরি।”

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত