নৌকার মাঝি সোহরাব স্বতন্ত্র রূপে ফিরে এসেছেন কুমিল্লায়

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২৪

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। বারবার চেষ্টা করেও তিনি মনোনয়ন পাননি। ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফিরে এসেছেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। গত উপজেলা নির্বাচনেও তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ইতিমধ্যে তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের ছবি একসাথে করে ব্যানার-ফেস্টুন বানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে চালাচ্ছেন প্রচারণা। একটি ফেস্টুনে দেখা যায়, তিনি সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আব্দুল মতিন খসরু এবং বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনুস-এর ছবি একসাথে করে নিজের ছবি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।

এতে স্থানীয় বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তারা বলছেন, ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে নির্বাচন করেছিলেন। এক বছরের মাথায় আবার নির্বাচন করতে আসছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের ছবি ব্যবহার করে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত করিম ভুঁইয়া দৈনিক আমার দেশকে বলেন, “ব্যারিস্টার সোহরাব খাঁন চৌধুরী আওয়ামী লীগের লোক। তিনি বিএনপি নির্বাচিত সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ-এর ছবি ব্যবহার করেছেন। এই বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী জসীম উদ্দিন বলবেন। আওয়ামী লীগের লোক কীভাবে বিএনপি নেতাদের ছবি ফেস্টুনে ছাপায়?”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী দৈনিক আমার দেশকে বলেন, “আমার মতামত আমি যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতি এখন প্রতিহিংসার বেড়াজালে আটকে আছে। কেন্দ্রীয় বা জাতীয় নেতাদের পাশে স্থানীয় নেতাদের ছবি থাকলেই কি প্রমাণ হয়? প্রতিদিন শত শত ছবি ফেসবুকে ঘুরছে আমাদের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে। সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না? অথচ আমার ক্ষেত্রে কেন ব্যতিক্রম?”

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত