কুমিল্লার মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
খাদিজা আক্তার কেয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির হোসেনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খাদিজা আক্তার কেয়া সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেয়া লেখেন, আমি আসলে একটা জিনিস দেখলাম কি? যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর, এটা আমার ক্ষেত্রে যে প্রযোজ্য হবে না কে বললো! আপনারা সবাই জানেন যে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা একটি গণঅভ্যুত্থানের পরে একটি প্লাটফর্মে এসেছিলাম। মুরাদনগর উপজেলা থেকে যেই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছে। অন্য কারোটা আমি জানি না কিন্তু আমি এই শহীদ ভাই-বোনদের রক্তের সাথে বেইমানি করতে পারবো না । তাই নিজে আমি এসব কিছু থেকে সরে আসলাম। আজকের পর থেকে এই প্লাটফর্মের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। আমি কোনো দল করি না। আমি কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি করি না এবং করবও না, তবে দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। দেশের সংস্কারের পক্ষে সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের স্বার্থে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাদের আমার পাশে থাকার জন্য সবাই ভালো থাকবেন।
তার পদত্যাগ ঘোষণার পর কুমিল্লার মুরাদনগরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে খাদিজা আক্তার কেয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, খাদিজা আক্তার কেয়ার পদত্যাগের বিষয়টি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। তার সাথে এখনো কথা হয়নি। সে আসলে কি কারণে পদত্যাগ করেছে। এটা কথা বলে জানা যাবে।

