নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু: পরিবারে দায় চাপিয়ে পার পেতে চায় চসিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৪: ০২

চট্টগ্রামের হালিশহরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে ৩ বছর বয়সী শিশু হুমায়রার মৃত্যুর ঘটনার পুরো দায় শিশুটির পরিবারের উপর চাপানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনের গঠিত এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ দায় চাপানো হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ জুলাই ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার সকালে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুটির মা যথাযথ খেয়াল না রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়াও ভবনটির দরজা খোলা থাকায় ও কেয়ারটেকার না থাকায় শিশুটি সহজে বাইরে যেতে পেরেছে।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে হালিশহরের নয়াবাজার আনন্দীপুর জামে মসজিদের সামনে উন্মুক্ত নালায় পড়ে ৩ বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকানে যাওয়ার সময় খোলা একটি নালায় পড়ে যায় শিশুটি। নালার স্ল্যাবটি তোলা থাকায় ওপরে পানি জমে ছিল, ফলে নালাটি বোঝা যায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সড়কের পাশে থাকা সংকীর্ণ ড্রেনগুলো পরিষ্কারের উদ্দেশ্যেই খোলা রাখা হয়েছে এবং সেগুলো স্ল্যাব দিয়ে ঢাকার অনুপযোগী। এসব ড্রেন প্রাইভেট ড্রেন হিসেবে বিচেচিত। তবে ড্রেনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থানীয়দের তৈরি বলেও জানানো হয়। এছাড়াও সৃষ্ট জলাবদ্ধতা পার্শ্ববর্তী একজন জায়গার মালিকের বলেও দাবি করা হয়। এতে সিটি করপোরেশনের কোন দায় উল্লেখ নেই।

প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ৬ ধরনের সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশগুলোতেও মা-বাবাকে শিশুদের দেখে শুনে রাখার এবং গার্মেন্টেস মালিকদের প্রতি তাদের কর্মীদের শিশুকে কর্মস্থলে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী আমার দেশকে জানান, একজন শিশুকে অবহেলা করে একাকী ছেড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ পরিবারের দায়। এতে আমাদের কোনো দায় নেই।

তবে সিটি করপোরেশনের এই প্রতিবেদন দায় এড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা বলে মনে করেন নগরবিদরা। নগরবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মুজমদার জানান, বাচ্চাকে খেয়াল না রাখায় পরিবারের দায় থাকতে পারে। কিন্তু বাইরে মৃত্যুকূপ খনন করে রাখা হয়েছে তার দায় কাউকে না কাউকেতো নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের এই প্রতিবেদন শোকাহত পরিবারকে আরেকবার আহত করবে। প্রতিবেদনে যদি পরিবারের দায়ের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দায়ও স্বীকার করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ থাকতো তবে বিষয়টি পেশাদারিত্ব বজায় থাকতো। ভবিষ্যতে এমন অপমৃত্যু হয়তো বন্ধ হতো।

মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানি নিখোঁজ, সন্দেহের তীর ইসকনের দিকে

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

রাবাদার রেকর্ডে স্বস্তিতে প্রোটিয়ারা

যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে খামেনির উপহাস

হোয়াইট হাউসে বলরুম নিয়ে রহস্য, নির্মাণে টাকা দিচ্ছে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত