জাসাস নেতার অডিও ভাইরাল
উপজেলা প্রতিনিধি, তিতাস (কুমিল্লা)
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান খানকে সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাসসাসের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল মুন্সির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত থেকে এ ঘটনার ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এক একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডের শুরুতেই জাসাস নেতা সোহেল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষক আলী গোফরানকে উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সোহেল মুন্সি সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, আপনি কই আছেন? শিক্ষক বলেন আমি ছুটি নিয়ে কুমিল্লায় আছি। আপনার নামে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে এলাকায়, আপনি কখন আসবেন? আইসা দেখা কইরেন, না হয় নিউজ করে দিবো, এরপর বুঝবেন। কি নিউজ করবেন শিক্ষকের এমন প্রশ্নে বলেন, ওই যে মেয়েরা আপনার নামে কমপ্লেইন দিছে।
‘এভাবে কথা বলে একজন হেড স্যারের সাথে’ -শিক্ষকের এমন প্রশ্নে সোহেল বলেন, ‘ওইমিয়া আমনে কি মাষ্টর, ছাগলের ঘরের ছাগল, তুই আমারে সালাম দিছিলি, আমিযে সালাম দিছিলাম সালাম লইছিলি। বেয়াদব কোনখানের!’
শিক্ষক- ‘এভাবে কথা বলে’
সোহেল মুন্সি- ‘ওই মিয়া আপনের থেকে আমার কথা শিখতে অইবো, ওই কোন স্কুলের মাস্টার আমনে মিয়া, বড় বড় হাইস্কুলের মাষ্টাররাও আমগো লগে এইভাবে কথা বলে না। ফাজলামি চো..ন মিয়া।------ আমি একজন সাংবাদিক পরিচয় দিছি, তারপরও আপনি আমার সাথে তর্ক করেন। যত বড় চাকরী করেন তার চেয়ে বেশি ভাব লন, ওই মিয়া শিক্ষা অফিসাররাওতো আমাদের সাথে এইভাবে কথা বলে না। বদমাশি করার একটা সীমানা রাহিস কইদিলাম, মানুষ চিনস।
প্রধান শিক্ষক প্রতিউত্তরে বলেন, আপনি আমাকে গালাগালি করছেন কেন? আমিতো আপনাকে আপনে করেই বলছি। পাল্টা জবাবে জাসসাস নেতা সোহেল মুন্সি বলেন, ‘হেই ‘বানদির পুত’ তুই আমারে আপনে করে বলবি না কি করে বলি, আমি ছুইক্কা (বাচ্চা), আমি কি ফাইভে ‘পরি’। আপনি আমাকে সাংবাদিকের সম্মানটা দিছেন, আমি একজন সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বুঝছেন। এছাড়াও পুরো কথোপকথনে প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশে সোহেল মুন্সিকে অশালীন কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।
অডিও কল রেকর্ডের হুমকি ও গালাগালিজ বিষয়ে তিতাস উপজেলা জাসাসের যুগ্ম-আহবায়ক সোহেল মুন্সি নিজেকে সাংবাদিক দাবী করে বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পষ্টবাদী পত্রিকার তিতাস প্রতিনিধি। যে রেকর্ডটি ছাড়া হয়েছে তা কাটছাট করে ছাড়া হয়েছে। গালিগালাজের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারে অভিযোগের বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন করে দেখা করতে বলেছি।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান বলেন, আমি প্রায় ১৩ বছর ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করছি। ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে আমার উপর মব সৃষ্টি করে হামলার চেষ্টা হয়। তিতাসে অনেক সাংবাদিককেই চিনি জানি, তবে সোহেল মুন্সি নামে কোনো সাংবাদিককে চিনি না। ওই ব্যাক্তি( সোহেল) ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমি ছুটিতে আছি বলার পরও গালিগালাজ করেন। ২৬ তারিখে ঘটনা আর সাংবাদিক পরিচয়ে ফোনে গালিগালাজ হুমকিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এস এম মিজান বলেন, তিতাসের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মুন্সির বিষয়টি আমরা শুনেছি। ওর ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর জাসাসের পরিচয়ে কেউ কোনো অপরাধে জড়িত হলে সেই দায় জাসাস নেবে না।
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান খানকে সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাসসাসের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল মুন্সির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত থেকে এ ঘটনার ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এক একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডের শুরুতেই জাসাস নেতা সোহেল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষক আলী গোফরানকে উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সোহেল মুন্সি সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, আপনি কই আছেন? শিক্ষক বলেন আমি ছুটি নিয়ে কুমিল্লায় আছি। আপনার নামে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে এলাকায়, আপনি কখন আসবেন? আইসা দেখা কইরেন, না হয় নিউজ করে দিবো, এরপর বুঝবেন। কি নিউজ করবেন শিক্ষকের এমন প্রশ্নে বলেন, ওই যে মেয়েরা আপনার নামে কমপ্লেইন দিছে।
‘এভাবে কথা বলে একজন হেড স্যারের সাথে’ -শিক্ষকের এমন প্রশ্নে সোহেল বলেন, ‘ওইমিয়া আমনে কি মাষ্টর, ছাগলের ঘরের ছাগল, তুই আমারে সালাম দিছিলি, আমিযে সালাম দিছিলাম সালাম লইছিলি। বেয়াদব কোনখানের!’
শিক্ষক- ‘এভাবে কথা বলে’
সোহেল মুন্সি- ‘ওই মিয়া আপনের থেকে আমার কথা শিখতে অইবো, ওই কোন স্কুলের মাস্টার আমনে মিয়া, বড় বড় হাইস্কুলের মাষ্টাররাও আমগো লগে এইভাবে কথা বলে না। ফাজলামি চো..ন মিয়া।------ আমি একজন সাংবাদিক পরিচয় দিছি, তারপরও আপনি আমার সাথে তর্ক করেন। যত বড় চাকরী করেন তার চেয়ে বেশি ভাব লন, ওই মিয়া শিক্ষা অফিসাররাওতো আমাদের সাথে এইভাবে কথা বলে না। বদমাশি করার একটা সীমানা রাহিস কইদিলাম, মানুষ চিনস।
প্রধান শিক্ষক প্রতিউত্তরে বলেন, আপনি আমাকে গালাগালি করছেন কেন? আমিতো আপনাকে আপনে করেই বলছি। পাল্টা জবাবে জাসসাস নেতা সোহেল মুন্সি বলেন, ‘হেই ‘বানদির পুত’ তুই আমারে আপনে করে বলবি না কি করে বলি, আমি ছুইক্কা (বাচ্চা), আমি কি ফাইভে ‘পরি’। আপনি আমাকে সাংবাদিকের সম্মানটা দিছেন, আমি একজন সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বুঝছেন। এছাড়াও পুরো কথোপকথনে প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশে সোহেল মুন্সিকে অশালীন কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।
অডিও কল রেকর্ডের হুমকি ও গালাগালিজ বিষয়ে তিতাস উপজেলা জাসাসের যুগ্ম-আহবায়ক সোহেল মুন্সি নিজেকে সাংবাদিক দাবী করে বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পষ্টবাদী পত্রিকার তিতাস প্রতিনিধি। যে রেকর্ডটি ছাড়া হয়েছে তা কাটছাট করে ছাড়া হয়েছে। গালিগালাজের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারে অভিযোগের বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন করে দেখা করতে বলেছি।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান বলেন, আমি প্রায় ১৩ বছর ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করছি। ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে আমার উপর মব সৃষ্টি করে হামলার চেষ্টা হয়। তিতাসে অনেক সাংবাদিককেই চিনি জানি, তবে সোহেল মুন্সি নামে কোনো সাংবাদিককে চিনি না। ওই ব্যাক্তি( সোহেল) ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমি ছুটিতে আছি বলার পরও গালিগালাজ করেন। ২৬ তারিখে ঘটনা আর সাংবাদিক পরিচয়ে ফোনে গালিগালাজ হুমকিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এস এম মিজান বলেন, তিতাসের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মুন্সির বিষয়টি আমরা শুনেছি। ওর ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর জাসাসের পরিচয়ে কেউ কোনো অপরাধে জড়িত হলে সেই দায় জাসাস নেবে না।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২১ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৮ মিনিট আগে