এম কে মনির, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। চলতি বছরের আট মাসে নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৬১১ জন। গত বছরের তুলনায় দুর্ঘটনার হার বেড়েছে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, রাস্তা পারাপার, গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রাণ হারানোর ঘটনাও রয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ ও সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংগঠনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বন্দর নগরীতে বেশি ঘটছে বাস থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু । গত শনিবার নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় সিটি সার্ভিসের একটি গাড়ি রিকশাকে চাপা দিলে রিকশা আরোহী তানজিবা সাইফুল তিশমা নামে একজন শিক্ষিকা ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নগরের দু্ই নম্বর গেটের ইংলিশ প্যাক স্কুলের শিক্ষিকা এবং হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। এর আগে গত ৮ এপ্রিল নগরীর লালখানবাজারে রিয়া মজুমদার নামের এক চাকরিজীবী বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন। অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে এমন মৃত্যু হয় রিয়ার।
২০২৩ সালের ১৪ মার্চ একই পরিণতি ঘটে স্কুল শিক্ষিকা সাকিয়াতুল কাউচারের। শহরের বায়েজিদে দ্রুতগামী বাসের চাপায় এই নারীর মৃত্যু হয়। গত বছরের ১৫ এপ্রিল নগরের আউটার রিং রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় এশিয়ান ইউম্যান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফুতফাফোনে জায়ডালা প্রাণ হারান। তিনি লাওসের নাগরিক। এছাড়াও গত ১৮ আগস্ট ভোরে নগরের সিটি গেটে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকারীরা বলছেন, শহরে চলাচল করা গণপরিবহনে এভাবেই চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬টি থানা এলাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে নগরে ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি, অদক্ষ চালক, চালকদের মাদকাসক্তি, গাফিলতির কারণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাছাড়াও চট্টগ্রাম নগরে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ফিটনেসযুক্ত গাড়ির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
নগরবাসীর অভিযোগ, সড়কে তিন ভাগের দুই ভাগ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই। কিন্তু টাকার বিনিময়ে ফিটনেস দিয়ে দিচ্ছে বিআরটিএ। এতে দিনের পর দিন মালিকরা অকেজো গাড়ি সড়কে চালাচ্ছেন। আর অদক্ষ চালক নিয়োগ দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন অনেকে। তাদের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নগরে ৩৮১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত ও ৬১১ জন আহত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, পরিবহন সেক্টরে মাদকের অবাধ বিস্তারে অধিকাংশ চালক মাদকে আসক্ত এবং মোবাইলেও আসক্ত। তারা হয়তো মোবাইলে ভিডিও দেখে গাড়ি চালায় নয়তো মাদক গ্রহণ করে। এতে গাড়ির প্রতি কোনো মায়া থাকে না।
সংগঠনটির দাবি, মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কম বেতনের জন্য অদক্ষ চালক নিয়োগ করায় দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিটি গাড়িতে দক্ষ চালক নিয়োগ করলেই দুর্ঘটনা কমে আসবে। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর অদক্ষ চালকের হাতে স্ট্রিয়ারিং তুলে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু লাইসেন্স করানোর সময় ডোপ টেস্ট করালে হবে না। লাইসেন্স তল্লাশির মতো মাঝে-মধ্যে চেকপোস্ট বসিয়ে র্যাপিড ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের ডিসি নেছার উদ্দিন আহমেদ আমার দেশকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত বেপরোয়া চালকদের গাড়ি জব্দ, জরিমানা, মামলাসহ নানাভাবে আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কোথায় গাড়ি থামাতে হবে, কোথায় গতি কত হবে এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চালকদের মাদক গ্রহণ, মোবাইল আসক্তি, ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ ট্রাফিক বিভাগের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দক্ষ চালক নিয়োগ না হওয়ায় সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া কোনো কিছু না দেখে লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে বিআরটিএ। একজন চালকের দক্ষতা না দেখেই তাকে লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া মানে তার হাতে মৃত্যুর হাতিয়ার তুলে দেওয়া।
এদিকে মহানগরে দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি, বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য মতে, গত আট মাসে নগরে ৩৮১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জনের প্রাণহানি ও ৬১১ জন আহত হয়েছেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, এসব দুর্ঘটনার ৫০ শতাংশ চালকের অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে হচ্ছে। তারা আরো জানায়, নগরে মোট দুর্ঘটনার ২২ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও ১০ শতাংশ অন্যান্য।
আর বিআরটিএ বলছে, চট্টগ্রাম নগরে মেট্রো-১ ও মেট্রো-২ সার্কেল এলাকায় গত ছয় মাসে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আর দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮টি। এর মধ্যে এসব ঘটনায় ২৩ জন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। আর সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই লাইসেন্স দেওয়া হয়। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। বিআরটিএ’র মতো ট্রাফিক বিভাগও যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তবে নগরে রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং অদক্ষ চালকের সংখ্যা নিয়ে বিআটিএ’র কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে জানান তিনি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, কোনো সংস্থা দ্বিমত করতেই পারে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও চমেক হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে নিশ্চিত হয়ে থাকি।
একাধিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন নিয়ে মতপার্থক্য প্রায়ই দেখা দেয় । সরকারি সংস্থাগুলো রিপোর্ট স্বীকার করতে চায় না। তারা দুর্ঘটনাকে সংখ্যায় কম দেখাতে অভ্যস্ত। সংগঠনগুলো সাধারণত জাতীয় পত্রিকা দেখে রিপোর্ট তৈরি করে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে অনেক সময় অন্য রাজনৈতিক বা আলোচিত সংবাদের জন্য সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ তেমন গুরুত্ব পায় না। এতে অনেক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যানের বাইরে থেকে যায়।
চট্টগ্রাম নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। চলতি বছরের আট মাসে নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৬১১ জন। গত বছরের তুলনায় দুর্ঘটনার হার বেড়েছে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, রাস্তা পারাপার, গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রাণ হারানোর ঘটনাও রয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ ও সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংগঠনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বন্দর নগরীতে বেশি ঘটছে বাস থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু । গত শনিবার নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় সিটি সার্ভিসের একটি গাড়ি রিকশাকে চাপা দিলে রিকশা আরোহী তানজিবা সাইফুল তিশমা নামে একজন শিক্ষিকা ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নগরের দু্ই নম্বর গেটের ইংলিশ প্যাক স্কুলের শিক্ষিকা এবং হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। এর আগে গত ৮ এপ্রিল নগরীর লালখানবাজারে রিয়া মজুমদার নামের এক চাকরিজীবী বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন। অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে এমন মৃত্যু হয় রিয়ার।
২০২৩ সালের ১৪ মার্চ একই পরিণতি ঘটে স্কুল শিক্ষিকা সাকিয়াতুল কাউচারের। শহরের বায়েজিদে দ্রুতগামী বাসের চাপায় এই নারীর মৃত্যু হয়। গত বছরের ১৫ এপ্রিল নগরের আউটার রিং রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় এশিয়ান ইউম্যান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফুতফাফোনে জায়ডালা প্রাণ হারান। তিনি লাওসের নাগরিক। এছাড়াও গত ১৮ আগস্ট ভোরে নগরের সিটি গেটে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকারীরা বলছেন, শহরে চলাচল করা গণপরিবহনে এভাবেই চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬টি থানা এলাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে নগরে ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি, অদক্ষ চালক, চালকদের মাদকাসক্তি, গাফিলতির কারণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাছাড়াও চট্টগ্রাম নগরে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ফিটনেসযুক্ত গাড়ির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
নগরবাসীর অভিযোগ, সড়কে তিন ভাগের দুই ভাগ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই। কিন্তু টাকার বিনিময়ে ফিটনেস দিয়ে দিচ্ছে বিআরটিএ। এতে দিনের পর দিন মালিকরা অকেজো গাড়ি সড়কে চালাচ্ছেন। আর অদক্ষ চালক নিয়োগ দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন অনেকে। তাদের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নগরে ৩৮১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত ও ৬১১ জন আহত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, পরিবহন সেক্টরে মাদকের অবাধ বিস্তারে অধিকাংশ চালক মাদকে আসক্ত এবং মোবাইলেও আসক্ত। তারা হয়তো মোবাইলে ভিডিও দেখে গাড়ি চালায় নয়তো মাদক গ্রহণ করে। এতে গাড়ির প্রতি কোনো মায়া থাকে না।
সংগঠনটির দাবি, মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কম বেতনের জন্য অদক্ষ চালক নিয়োগ করায় দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিটি গাড়িতে দক্ষ চালক নিয়োগ করলেই দুর্ঘটনা কমে আসবে। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর অদক্ষ চালকের হাতে স্ট্রিয়ারিং তুলে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু লাইসেন্স করানোর সময় ডোপ টেস্ট করালে হবে না। লাইসেন্স তল্লাশির মতো মাঝে-মধ্যে চেকপোস্ট বসিয়ে র্যাপিড ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের ডিসি নেছার উদ্দিন আহমেদ আমার দেশকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত বেপরোয়া চালকদের গাড়ি জব্দ, জরিমানা, মামলাসহ নানাভাবে আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কোথায় গাড়ি থামাতে হবে, কোথায় গতি কত হবে এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চালকদের মাদক গ্রহণ, মোবাইল আসক্তি, ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ ট্রাফিক বিভাগের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দক্ষ চালক নিয়োগ না হওয়ায় সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া কোনো কিছু না দেখে লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে বিআরটিএ। একজন চালকের দক্ষতা না দেখেই তাকে লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া মানে তার হাতে মৃত্যুর হাতিয়ার তুলে দেওয়া।
এদিকে মহানগরে দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি, বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য মতে, গত আট মাসে নগরে ৩৮১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জনের প্রাণহানি ও ৬১১ জন আহত হয়েছেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, এসব দুর্ঘটনার ৫০ শতাংশ চালকের অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে হচ্ছে। তারা আরো জানায়, নগরে মোট দুর্ঘটনার ২২ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও ১০ শতাংশ অন্যান্য।
আর বিআরটিএ বলছে, চট্টগ্রাম নগরে মেট্রো-১ ও মেট্রো-২ সার্কেল এলাকায় গত ছয় মাসে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আর দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮টি। এর মধ্যে এসব ঘটনায় ২৩ জন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। আর সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই লাইসেন্স দেওয়া হয়। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। বিআরটিএ’র মতো ট্রাফিক বিভাগও যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তবে নগরে রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং অদক্ষ চালকের সংখ্যা নিয়ে বিআটিএ’র কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে জানান তিনি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, কোনো সংস্থা দ্বিমত করতেই পারে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও চমেক হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে নিশ্চিত হয়ে থাকি।
একাধিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন নিয়ে মতপার্থক্য প্রায়ই দেখা দেয় । সরকারি সংস্থাগুলো রিপোর্ট স্বীকার করতে চায় না। তারা দুর্ঘটনাকে সংখ্যায় কম দেখাতে অভ্যস্ত। সংগঠনগুলো সাধারণত জাতীয় পত্রিকা দেখে রিপোর্ট তৈরি করে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে অনেক সময় অন্য রাজনৈতিক বা আলোচিত সংবাদের জন্য সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ তেমন গুরুত্ব পায় না। এতে অনেক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যানের বাইরে থেকে যায়।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
৩০ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে