স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
সারাদিনের টিপটিপ বৃষ্টি আর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মণ্ডপ থেকে এনে সমুদ্র সৈকতে একে একে দেবী প্রতিমা ভাসিয়ে দেয়া হয়। বিসর্জনের আগে আয়োজন করা হয় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের। যেখানে জেলার প্রায় সবধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা নেচে গেয়ে, কেউ কেউ অঝোরে কেঁদে তাদের দুর্গা দেবীকে সমুদ্রের পানিতে বিসর্জন দেন।
দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও প্রতিবছর এটিকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সমাবেশ ঘটে হাজার হাজার পর্যটক আর বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থী মানুষের। এবারও তার ব্যতিক্রম না হলেও সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈরী আবহাওয়া। বিসর্জনের দিনে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায় থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে হাজার হাজার পর্যটক হোটেল মোটেলে অলস সময় কাটাতে বাধ্য হলেও পূজার্থীরা হাজির ছিলেন সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালুকাবেলায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে এনে রাখা হয় সবধরণের প্রতিমা। পরে আনুষ্ঠানিকতা সেরে এখান থেকেই সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয় সেগুলো।
তবে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা ও কলাতলী এলাকায় বিসর্জন আয়োজনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বিকালে ভক্ত ও পর্যটকদের কিছুটা ঢল নামে। তাও ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর আগে থেকেই সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সতর্কতা সংকেত ও ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল।
প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন, কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম, র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কামরুল হাসান, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জামায়াতে ইসলামির কক্সবাজার শহর আমির আবদুল্লাহ আল ফারুখ, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এতে জেলার প্রশাসনিক ও সামাজিক নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটি সূত্র বলছে, এ বছর কক্সবাজার জেলায় ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা (মূর্তি পূজা) ১৫২টি ও ঘটপূজা ছিল ১৬৬টি। এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরেই ৩১টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব হয়েছে। এছাড়াও চকরিয়া উপজেলায় ৫৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, উখিয়া উপজেলায় ২৯টি, টেকনাফ উপজেলায় ২১টি, পেকুয়া উপজেলায় ২৭টি, রামু উপজেলা ৩৭টি ও মহেশখালী উপজেলায় ৩৯টি মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। তাছাড়াও কক্সবাজারের সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা ও ঘট পূজা হয়।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাবসহ সাদা পোষাকধারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সৈকতে দায়িত্ব পালনকারি টুরিস্ট পুলিশও বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছে।
পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নারী সদস্যদের সাধারণ পোষাকে মানুষের মাঝে মিশিয়ে দেয়া হয়, যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর আগেই অপচেষ্টাকারিদের ধরে ফেলা যায়।
কয়েকদিনে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই সব প্রতিমা সমুদ্রের লোনাজলে বিসর্জন দেয়া হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুর্গা দেবী মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরে যাচ্ছেন। ওই সময় দেবী দুর্গার ভক্তদের চোখে ছিল অশ্রু, ঠোঁটে ছিল আগামী বছরের পূণর্মিলনের আশা- ‘আশ্চর্য মঙ্গলময়ী মা, আবার আসিবে বছরে’।
সারাদিনের টিপটিপ বৃষ্টি আর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মণ্ডপ থেকে এনে সমুদ্র সৈকতে একে একে দেবী প্রতিমা ভাসিয়ে দেয়া হয়। বিসর্জনের আগে আয়োজন করা হয় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের। যেখানে জেলার প্রায় সবধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা নেচে গেয়ে, কেউ কেউ অঝোরে কেঁদে তাদের দুর্গা দেবীকে সমুদ্রের পানিতে বিসর্জন দেন।
দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও প্রতিবছর এটিকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সমাবেশ ঘটে হাজার হাজার পর্যটক আর বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থী মানুষের। এবারও তার ব্যতিক্রম না হলেও সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈরী আবহাওয়া। বিসর্জনের দিনে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায় থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে হাজার হাজার পর্যটক হোটেল মোটেলে অলস সময় কাটাতে বাধ্য হলেও পূজার্থীরা হাজির ছিলেন সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালুকাবেলায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে এনে রাখা হয় সবধরণের প্রতিমা। পরে আনুষ্ঠানিকতা সেরে এখান থেকেই সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয় সেগুলো।
তবে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা ও কলাতলী এলাকায় বিসর্জন আয়োজনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বিকালে ভক্ত ও পর্যটকদের কিছুটা ঢল নামে। তাও ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর আগে থেকেই সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সতর্কতা সংকেত ও ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল।
প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন, কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম, র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কামরুল হাসান, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জামায়াতে ইসলামির কক্সবাজার শহর আমির আবদুল্লাহ আল ফারুখ, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এতে জেলার প্রশাসনিক ও সামাজিক নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটি সূত্র বলছে, এ বছর কক্সবাজার জেলায় ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা (মূর্তি পূজা) ১৫২টি ও ঘটপূজা ছিল ১৬৬টি। এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরেই ৩১টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব হয়েছে। এছাড়াও চকরিয়া উপজেলায় ৫৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, উখিয়া উপজেলায় ২৯টি, টেকনাফ উপজেলায় ২১টি, পেকুয়া উপজেলায় ২৭টি, রামু উপজেলা ৩৭টি ও মহেশখালী উপজেলায় ৩৯টি মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। তাছাড়াও কক্সবাজারের সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা ও ঘট পূজা হয়।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাবসহ সাদা পোষাকধারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সৈকতে দায়িত্ব পালনকারি টুরিস্ট পুলিশও বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছে।
পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নারী সদস্যদের সাধারণ পোষাকে মানুষের মাঝে মিশিয়ে দেয়া হয়, যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর আগেই অপচেষ্টাকারিদের ধরে ফেলা যায়।
কয়েকদিনে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই সব প্রতিমা সমুদ্রের লোনাজলে বিসর্জন দেয়া হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুর্গা দেবী মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরে যাচ্ছেন। ওই সময় দেবী দুর্গার ভক্তদের চোখে ছিল অশ্রু, ঠোঁটে ছিল আগামী বছরের পূণর্মিলনের আশা- ‘আশ্চর্য মঙ্গলময়ী মা, আবার আসিবে বছরে’।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩২ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে