দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গোপনে অবৈধভাবে মাছ শিকার করা হয়। মাঝে মধ্যে উপজেলা অভিযান পরিচালনা করলেও রাতের আঁধারে বা নির্জন জায়গায় মাছ শিকার থেমে নেই। সরকারিভাবে হালদার পাহারাদার রাখা হলেও কোনোভাবে থামছে না হালদায় মৎস্য শিকার। যার কারণে নানা সংকটে পড়ে হালদা নদী। হালদা রক্ষায় প্রশাসনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে নদীর সর্তারঘাট থেকে নগরীর মোহরার কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে ৭ হাজার মিটার ভাসাজাল জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় তিন মৎস্য শিকারীকে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদের নেতৃত্বে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বোয়ালখালীর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশ ও হালদা পাহারাদাররা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
রাউজানের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন ফাহিম জানান, ‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে হালদায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। হালদার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৭ হাজার মিটার ভাসাজাল জব্দ করা হয়। আটক তিন মৎস্য শিকারীকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক প্রজনন-ক্ষেত্রের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে রাউজানের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

