চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৫০

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ তারেক আজিজ (৩৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে আটক করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মারধরের পর আতঙ্কে ওই যুবক মারা গেছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো.লোকমান হোসেন (৩৫) শেরপুর জেলার চকপাড়ার সোনারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মচারী ছিলেন।

আটক তারেক উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মী লোকমান ও মোস্তাফিজুর রহমান (২৮)। তারা দু’জনই শেরপুর জেলার বাসিন্দা। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে ঠিকাদার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ করার পর কিছু স্ক্রাব বেঁচে যায়। পরে দু’জন স্ক্রাবগুলো উপজেলার চরহিয়া গ্রামের আসাদ নগর ত্রিমোহনীর একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে আসেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা তাদের বিক্রি করে আসা মালের ওজন জানতে আবার ভাঙারি দোকানে যায়। সেখানে স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তারেক আজিজসহ তিন ব্যক্তি ঠিকাদারের দু’কর্মির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলেন। পরে দু’জনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করে বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে লোকমানকে লোহার রেঞ্জ দিয়ে হাতে, পিঠে আঘাত করে।

এ ঘটনায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম ‌আজমল হুদা শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার সময় আমার দেশকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দু’জই বাঁধা অবস্থায় জীবিত। পুলিশ তাৎক্ষণিক দু’জনের বাঁধন খুললে লোকমান ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মবের ভয়ে আতঙ্কে তিনি মারা গেছেন। নিহতের লাশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সাথে থাকা শ্রমিক মোস্তাফিজুর রহমান শুক্রবার রাত আটটার দিকে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরো বলেন, চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। পিঠে ছোট একটি দাগ আছে। আর কোনো আঘাত নেই। ভয়ে আতঙ্কে হার্টফেল করতে পারে। নিহতের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত