অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

উপজেলা প্রতিনিধি (পেকুয়া) কক্সবাজার
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৩
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪

পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের পরও বালু উত্তোলন থামছে না। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে একশ্রেণির বালুখেকো বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন নীরব।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের বটতলী, হাবিবপাড়া, মালঘারাসহ বিভিন্ন জায়গায় বালু উত্তোলন করছে একশ্রেণির বালুখেকো চক্র। তারা নিয়মিত দিনে ও রাতে স্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকার আনিছ, হামিদুল হক, কালু সওদাগর, মো. ইকবাল, করিমসহ অনেকে বালু উত্তোলন করছেন। বিশেষ করে পাহাড়ি ছড়া থেকে বৃষ্টির পানির সঙ্গে নেমে আসা বালুগুলো তারা উত্তোলন করছে। তারা এক গাড়ি বালু ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। কয়েক দিন আগে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হোসেন চৌধুরী অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বালু জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পুঁইছড়ি বিট অফিসার কামরুল হাসান জানান, বালু উত্তোলন যদি আমাদের বিটের অধীনে হয় তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙছে নদীর তীর আর বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি ও বসতভিটাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বালু উত্তোলনকারীরা এলাকার প্রভাবশালী। তারা টাকা দিয়ে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, এর আগে পাহাড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে স্যালো মেশিনের পাইপ নষ্ট করা হয়েছে। উপজেলাজুড়ে অভিযান চলমান। আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত