জরুরি প্রস্তুতি সভায় চসিক মেয়র

কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের ডেল্টার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ০৫: ৫৬

ভারত থেকে আসা কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত ও মৃত্যুর হার খুব বেশি। তাই করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

গতকাল বুধবার চসিক মিলনায়তনে করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে তিনি এই তাগিদ দেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতে চিকিৎসার জন্য গেছে। তারা ফিরবে বিমান বা স্থলপথে। সীমান্তের স্থল ও নৌবন্দরগুলোর পাশাপাশি সবকটি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করা প্রয়োজন।

এটি বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী, সহজে শনাক্ত হয় না। তাই মাস্কপরা জরুরি। রোগীর কাশি, জ্বর নাও থাকতে পারে। হাঁটু জয়েন্ট, অস্থি, পিঠ, মাথা ও গলাব্যথা, নিউমোনিয়া থাকবে, ক্ষুধা কমে যাবে।

অল্প সময়ে উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন।

চসিক মেয়র বলেন, তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা বিদেশ ফেরত নন। স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটি-পিসিআর টেস্ট চালু রাখা হবে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও করা যাবে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের ম্যামন-২ হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিট প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি করোনা সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণাও দেন তিনি, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে পারবেন। প্রস্তুতি সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন জানান, আগে ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত ওয়ার্ডটি আবার করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। এখানে ৫০টি সাধারণ শয্যা ও ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রস্তুতির কাজ চলছে। করোনা পরীক্ষার জন্য পাঁচ হাজার কিটের চাহিদা দেওয়া হয়েছে, যা শিগগির এসে পৌঁছাবে। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় সহায়তার জন্য উপজেলা পর্যায় থেকে স্বাস্থ্য সহকারীদের আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সও নিয়োজিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে ৮০ হাজার ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে, যার একটি অংশ উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন বলেন, করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে ১৫টি সাধারণ শয্যা ও পাঁচটি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত আছে। অক্সিজেন সরবরাহে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা রয়েছে এবং যন্ত্রপাতি দ্রুত ঠিক করা হবে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত