চট্টগ্রাম ব্যুরো
জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবরার শাহরিয়ার। এমনকি ওইসময় কটেজ থেকে ধরে এনে ছাত্রদের অমানবিক নির্যাতনও করেছিলেন তিনি। হাসিনা পালানোর পর আত্মগোপনে চলে যান বান্দরবানে। সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চলের স্বাধীনতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভিটও করে দেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, তার সঙ্গে রয়েছে কেএনএফ কানেকশনও। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তারা। পার্বত্য অঞ্চলে গহিন এলাকায় থাকায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। সেখান থেকে প্রতিদিন ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর হয়ে কাজ করে পাহাড়ে অস্থিতিশীল করার তথ্য রয়েছে দেশের গোয়েন্দাদের কাছে।
আবরার শাহরিয়ার চবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ছাত্র। ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বান্দরবন পার্বত্য জেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদে আছেন।
যত অপকর্ম ও দেশ-বিরোধী কাজ
জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের কুপিয়ে আহত করেছিলেন এই আবরার শাহরিয়ার। এমনকি আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের কটেজ থেকে ধরে এনে রাতভর অমানবিক নির্যাতন করেছিলেন তিনি। চবি প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর সম্প্রতি তার ছাত্রত্ব বাতিল করেন। ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ আমার দেশকে জানান, জুলাই ও আগস্টে তীব্র আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রক্তাক্ত করেছিল এই আবরার। ছাত্রদের ওপর এমন কোনো নির্যাতন নেই আবরারসহ অন্য ছাত্রলীগাররা করেনি। এমন একজন নেতাকে প্রশাসন গ্রেফতার করতে পারেনি! বিষয়টি দুঃখজনক।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট হাসিনা পতনের পর আবরার পালিয়ে যান ঢাকায়। সেখানে সাভারে একজন আত্মীয়ের বাসায় উঠেন। সেখান থেকে চলে যান বান্দরবানে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পাহাড়িদের উসকে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি তার ইংরেজি ফেসবুক আইডি ‘Abrar shariar’-এ পাহাড়ের স্বাধীনতা চেয়ে পোস্ট দেন। পরে তীব্র সমালোচনার মুখে আইডিতে ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। এখন বাংলায় ‘আবরার শাহরিয়ার’ নামক আইডি খুলে গুজব ছড়াচ্ছেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাহাড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্নসময় গ্রেফতার হওয়া কেএনএফের সন্ত্রাসীরা তার নাম বলেছেন। আবরার মূলত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর হয়ে পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। পাহাড়ে গহিনে থাকায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তাকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
এমএস
জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবরার শাহরিয়ার। এমনকি ওইসময় কটেজ থেকে ধরে এনে ছাত্রদের অমানবিক নির্যাতনও করেছিলেন তিনি। হাসিনা পালানোর পর আত্মগোপনে চলে যান বান্দরবানে। সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চলের স্বাধীনতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভিটও করে দেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, তার সঙ্গে রয়েছে কেএনএফ কানেকশনও। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তারা। পার্বত্য অঞ্চলে গহিন এলাকায় থাকায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। সেখান থেকে প্রতিদিন ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর হয়ে কাজ করে পাহাড়ে অস্থিতিশীল করার তথ্য রয়েছে দেশের গোয়েন্দাদের কাছে।
আবরার শাহরিয়ার চবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ছাত্র। ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বান্দরবন পার্বত্য জেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদে আছেন।
যত অপকর্ম ও দেশ-বিরোধী কাজ
জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের কুপিয়ে আহত করেছিলেন এই আবরার শাহরিয়ার। এমনকি আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের কটেজ থেকে ধরে এনে রাতভর অমানবিক নির্যাতন করেছিলেন তিনি। চবি প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর সম্প্রতি তার ছাত্রত্ব বাতিল করেন। ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ আমার দেশকে জানান, জুলাই ও আগস্টে তীব্র আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রক্তাক্ত করেছিল এই আবরার। ছাত্রদের ওপর এমন কোনো নির্যাতন নেই আবরারসহ অন্য ছাত্রলীগাররা করেনি। এমন একজন নেতাকে প্রশাসন গ্রেফতার করতে পারেনি! বিষয়টি দুঃখজনক।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট হাসিনা পতনের পর আবরার পালিয়ে যান ঢাকায়। সেখানে সাভারে একজন আত্মীয়ের বাসায় উঠেন। সেখান থেকে চলে যান বান্দরবানে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পাহাড়িদের উসকে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি তার ইংরেজি ফেসবুক আইডি ‘Abrar shariar’-এ পাহাড়ের স্বাধীনতা চেয়ে পোস্ট দেন। পরে তীব্র সমালোচনার মুখে আইডিতে ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। এখন বাংলায় ‘আবরার শাহরিয়ার’ নামক আইডি খুলে গুজব ছড়াচ্ছেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাহাড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্নসময় গ্রেফতার হওয়া কেএনএফের সন্ত্রাসীরা তার নাম বলেছেন। আবরার মূলত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর হয়ে পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। পাহাড়ে গহিনে থাকায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তাকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
এমএস
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে