চালকের অবহেলায় কালুরঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১৮: ১৯

চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে রেলের গেটস্যানের লাল পতাকা ও স্টেশনের লাল সংকেত উপেক্ষা করে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঁচটি যানবাহনের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে একজন শিশু রয়েছে। তদন্তে প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটির সদস্যরা।

এরআগে গত ৫ জুন রাত ১০টা ১৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরের দিন শুক্রবার রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে।

কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান, বিভাগীয় প্রকৌশলী- ১ আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা।

কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্ধ থাকায় প্রতিবেদন জমা দিতে কিছুটা সময় নেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, অবহেলার কারণে কালুরঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। কমিটি কিছু সুপারিশও দিয়েছেন। তবে, আমরা এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনই কিছু বলছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন তদন্ত কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, তদন্তে ট্রেনটি সংকেত অমান্য করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ চালক ও ট্রেনের গার্ডের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অলরেডি লোকোমাস্টারসহ (চালক) চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া চারজন হলেন, পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনকারী গার্ড সোহেল রানা, লোকোমাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ এবং অস্থায়ী গেটকিপার (টিএলআর) মাহবুব।

তদন্তে গেটকিপার তার দায়িত্ব পালন করেছেন। অবহেলা করেছেন চালকরা। অর্থাৎ চালকের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বছরের শিশু আয়েশাসহ দুজন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত