তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা, হতাশায় খামারি ও মৎস্য চাষিরা

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। পানি বেড়ে যাওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে পোল্ট্রি ও মৎস্য চাষিদের। এরইমধ্যে চলতি বর্ষায় আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, এবার বর্ষার শুরুতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসক মো. জামাল হোসেনের উদ্যোগে বন্যার আশঙ্কায় পানির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পৌর এলাকায় বালুজুরি, মিতল্লা ও সর্পনোলা খাল খনন ও পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করেন। শুরুতেই এমন কার্যক্রমে আশার আলো দেখছেন পৌর এলাকার ২৬ গ্রামের বাসিন্দারা।

উপজেলাজুড়ে সেবা দিতে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের বন্যায় উপজেলার অনেক কৃষক আমন রোপন করতে পারেনি। এ বছর আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮,১৯০ হেক্টর। এ বছর ভারী বৃষ্টি না হলে কৃষকরা গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছয় হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ ধান, বিশ কেজি সার প্রদান করে।

উপজেলা আলকরা ইউনিয়নের বান্দেরজলা গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কাউসার আলম বলেন, এবারের বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে আমরা হতাশায় আছি। অতি বৃষ্টির ফলে পোল্ট্রি শিল্পের ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

মুন্সিরহাট ইউনিয়ন বারাইশ গ্রামের মৎস্য চাষি শহীদ মিয়া বলেন, চলতি বছরে বর্ষায় যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে লক্ষণ ভালো দেখাচ্ছে না। গতবারের বন্যায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর আমার তিনটি পুকুর খালি পড়ে আছে, বন্যার আশঙ্কায় রেনু পোনা মাছ ছাড়িনি।

বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, বন্যার আশঙ্কায় পানি প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গত মাসেই তিনটি খাল খনন ও পরিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত