আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

দেশের অর্থনীতির লাইফলাইনই লাইফ সাপোর্টে, ভোগান্তি

এম হাসান, কুমিল্লা
দেশের অর্থনীতির লাইফলাইনই লাইফ সাপোর্টে, ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কটি বেহাল। ছবি: আমার দেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্য ও মালামাল মহাসড়কটি দিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়। কিন্তু খানাখন্দে ভরা সেই মহাসড়কটিই এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। অনেক স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। মহাসড়কটিতে দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার যানবাহন আসা-যাওয়া করে থাকে। এমন অবস্থায় সড়কে চলতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের। এ ছাড়া বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরাও।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত কদিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কটি বেহাল। দিন দিন এই গর্তগুলো আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। এ জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় শত শত গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত বাইক ও প্রাইভেটকারের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, নন্দনপুর, মোস্তফাপুর, চাষাপাড়া, ধনাইতরী, সুয়াগাজী, চান্দিনা, নিমসারসহ বিভিন্ন অংশে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দ্রুতগতির যানবাহন চালকদের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুতগতির যানবাহনের চালকরা কিছুটা ধীরগতিতে যান চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তিন কারণে মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে—টানা বৃষ্টি, ওভারলোড গাড়ি চলাচল ও অতিরিক্ত গাড়ির প্রবাহ। চট্টগ্রামমুখী লেনের চেয়ে ঢাকামুখী লেনে ওভারলোড গাড়ি বেশি চলে বিধায় সড়কের ওই অংশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি।

গত রোববার কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী নুরে আলম। তিনি জানান, কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট আসতেই এক ঘণ্টা সময় পার হয়েছে। সড়ক বেহাল। গাড়ি খুবই ধীরগতিতে চলছে। বড় বড় গর্ত দেখলাম মহাসড়কে । কর্তৃপক্ষ এসব দেখছে না কেন?’

ঢাকা থেকে বাইকে কক্সবাজার যাচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট অংশে দেখা হলে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বাইক চালানোর সময় মনে হয়েছে গ্রামের কোনো ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি । দেশের লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই সড়ক এমন বেহাল, আমরা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছি না । এসব গর্তের কারণে বাইকারদের জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

তিশা পরিবহনের চালক সোহেল রানা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। গর্তের কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া এসব গর্তের কারণে গাড়ির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।’

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘মহাসড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণেই যানজটের সৃষ্টি হয় । বৃষ্টি হওয়ার কারণে গর্তে পানি জমেছে। যার কারণে চালকরা ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। সংস্কার না করলে মহাসড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বাড়তে পারে ।

কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার জামিল আহমেদ বলেন, ‘আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভয়াবহ।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মোস্তফা আমার দেশকে বলেন, ‘বর্ষায় মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এ মুহূর্তে কাজ করা যাচ্ছে না। বর্ষা শেষ হলে মহাসড়কটি মেরামত করা হবে। আমরা মেরামতের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

রায়েরবাজারে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের লাশ উত্তোলন শুরু রোববার

‌নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য কাজ করছে বিএন‌পি: আলাল

যৌথবাহিনীর হাতে আটক বহিষ্কৃত যুবদল নেতার কারাগারে মৃত্যু

টিসিবির মাধ্যমে চিনি বিক্রি চলমান থাকবে: শিল্প উপদেষ্টা

স্বৈরাচার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করে সবকিছু লুটেপুটে নিয়েছে: জাহিদুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন