চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বন্দর অপারেশনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার আমলে। দীর্ঘদিনের স্টিবিডরি প্রথার পরিবর্তন করে চালু করা হয় শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর সিস্টেম।
জেটিতে ১২টি বার্থ অপারেটর আর বহির্নোঙরে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এই পদ্ধতিতে বন্দরে বহিরাগত রাজনৈতিক শক্তির চাপ অনেকটা কমে আসে। অপারেশনেও ফেরে গতি। ৫ বছর পর পর টেন্ডার হলেও তাতে এমন সব শর্ত যুক্ত করা হতো তাতে অন্য কারো কাজ করার সুযোগ ছিল না। ফলে ১৮ বছর ধরে জেটিতে ১২টি আর বহি:নোঙরে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপরই নির্ভরশীল ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। অন্তর্বর্তী সরকার এবার সেই সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা তৈরির প্রস্তাবনা চেয়েছে বন্দরের কাছে। বন্দর কর্তৃপক্ষও খসড়া একটি নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছে এরই মধ্যে।
বন্দরের তৈরি করা নতুন খসড়া নীতিমালায়, টেন্ডার বা লাইসেন্স নবায়ন ৫ বছরের স্থলে ৩ বছর করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার শর্তগুলোর করা হয়েছে শিথিল। জাহাজ মালিক চার্টারার বা শিপিং কোম্পানি, সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কাস্টমস থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিপিং এজেন্ট আবেদনকারীর সাথে কাজ করতে সম্মত হলেই তিনি লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু এতদিন এই শর্ত ছিল আরো কঠিন। সেখানে কেবল শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। আর এতেই নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতো। এছাড়া নতুন লাইসেন্স পেতে খসড়া প্রস্তাবনায় আরো যে ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলোও অনেকটা সহজ। নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন হলে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্দরে কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একপক্ষ বলছে বন্দরের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মতো নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ছেলে-খেলা করার সুযোগ নেই। আর অন্য পক্ষের দাবি বন্দরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের সিন্ডিকেট ভাঙার এটাই উপযুক্ত কৌশল।
বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি, নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য দিন দিন উর্দ্ধমুখি হচ্ছে। এতে বন্দরের ব্যবহার প্রতিদিন বাড়ছে। আর তাই বন্দরের টার্মিনাল, বার্থ ও বহি:নোঙর নিয়ে নতুন করে পরীক্ষা চালানোর সুযোগ নেই। নতুন প্রতিষ্ঠান কাজে এলে গতি ও সেবার মান বাড়বে এটা ঠিক কিন্তু নতুন নীতিমালার শিথিল শর্তের সুযোগে বন্দর পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রতিষ্ঠান ঢুকে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ জানান, অভিজ্ঞতার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট বন্দরের বার্থ ও বহির্নোঙর জিম্মি করে মনোপোলি ব্যবসা করছে। অপারেটর বলতে বোঝায় অপারেশন কাজের সব যন্ত্রাংশ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের থাকতে হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে সব যন্ত্রাংশই বন্দরের। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসে কিছু লেবার সাপ্লাই দিয়ে অপারেটর নাম নিয়ে মালিক সেজেছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন তিনি।
বার্থ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী জানান, পতিত সরকারের শেষ সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২৩ টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা কাজে যোগ দিতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের লাইসেন্স বাতিল করেছে। কারণ বন্দর অপারেশন আর ১০ টা ঠিকাদারি কাজের মতো নয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় অর্থনীতি। ২০০৭ সালে স্টিবিডর প্রথা বিলুপ্তির পর স্টিবিডরদের মধ্য থেকেই শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়। বন্দরের সব অভিজ্ঞ শ্রমিক কর্মচারীরা কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছে। বন্দর চালানোর মতো দক্ষ জনবল বাইরে নেই। তাই নতুন নীতিমালার নামে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্দরে ঢোকালে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুখ জানান, যে কোন কাজে প্রতিযোগিতা যত বাড়বে সেবার মানও ততই বাড়বে। বন্দরের সেবার মান উন্নয়ন আর অপারেশনের গতি বাড়ানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন নীতিমালায়ও সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এখানে বন্দরের অপারেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন ধারা যুক্ত করা হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দর অপারেশনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার আমলে। দীর্ঘদিনের স্টিবিডরি প্রথার পরিবর্তন করে চালু করা হয় শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর সিস্টেম।
জেটিতে ১২টি বার্থ অপারেটর আর বহির্নোঙরে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এই পদ্ধতিতে বন্দরে বহিরাগত রাজনৈতিক শক্তির চাপ অনেকটা কমে আসে। অপারেশনেও ফেরে গতি। ৫ বছর পর পর টেন্ডার হলেও তাতে এমন সব শর্ত যুক্ত করা হতো তাতে অন্য কারো কাজ করার সুযোগ ছিল না। ফলে ১৮ বছর ধরে জেটিতে ১২টি আর বহি:নোঙরে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপরই নির্ভরশীল ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। অন্তর্বর্তী সরকার এবার সেই সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা তৈরির প্রস্তাবনা চেয়েছে বন্দরের কাছে। বন্দর কর্তৃপক্ষও খসড়া একটি নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছে এরই মধ্যে।
বন্দরের তৈরি করা নতুন খসড়া নীতিমালায়, টেন্ডার বা লাইসেন্স নবায়ন ৫ বছরের স্থলে ৩ বছর করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার শর্তগুলোর করা হয়েছে শিথিল। জাহাজ মালিক চার্টারার বা শিপিং কোম্পানি, সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কাস্টমস থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিপিং এজেন্ট আবেদনকারীর সাথে কাজ করতে সম্মত হলেই তিনি লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু এতদিন এই শর্ত ছিল আরো কঠিন। সেখানে কেবল শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। আর এতেই নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতো। এছাড়া নতুন লাইসেন্স পেতে খসড়া প্রস্তাবনায় আরো যে ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলোও অনেকটা সহজ। নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন হলে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্দরে কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একপক্ষ বলছে বন্দরের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মতো নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ছেলে-খেলা করার সুযোগ নেই। আর অন্য পক্ষের দাবি বন্দরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের সিন্ডিকেট ভাঙার এটাই উপযুক্ত কৌশল।
বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি, নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য দিন দিন উর্দ্ধমুখি হচ্ছে। এতে বন্দরের ব্যবহার প্রতিদিন বাড়ছে। আর তাই বন্দরের টার্মিনাল, বার্থ ও বহি:নোঙর নিয়ে নতুন করে পরীক্ষা চালানোর সুযোগ নেই। নতুন প্রতিষ্ঠান কাজে এলে গতি ও সেবার মান বাড়বে এটা ঠিক কিন্তু নতুন নীতিমালার শিথিল শর্তের সুযোগে বন্দর পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রতিষ্ঠান ঢুকে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ জানান, অভিজ্ঞতার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট বন্দরের বার্থ ও বহির্নোঙর জিম্মি করে মনোপোলি ব্যবসা করছে। অপারেটর বলতে বোঝায় অপারেশন কাজের সব যন্ত্রাংশ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের থাকতে হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে সব যন্ত্রাংশই বন্দরের। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসে কিছু লেবার সাপ্লাই দিয়ে অপারেটর নাম নিয়ে মালিক সেজেছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন তিনি।
বার্থ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী জানান, পতিত সরকারের শেষ সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২৩ টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা কাজে যোগ দিতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের লাইসেন্স বাতিল করেছে। কারণ বন্দর অপারেশন আর ১০ টা ঠিকাদারি কাজের মতো নয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় অর্থনীতি। ২০০৭ সালে স্টিবিডর প্রথা বিলুপ্তির পর স্টিবিডরদের মধ্য থেকেই শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়। বন্দরের সব অভিজ্ঞ শ্রমিক কর্মচারীরা কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছে। বন্দর চালানোর মতো দক্ষ জনবল বাইরে নেই। তাই নতুন নীতিমালার নামে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্দরে ঢোকালে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুখ জানান, যে কোন কাজে প্রতিযোগিতা যত বাড়বে সেবার মানও ততই বাড়বে। বন্দরের সেবার মান উন্নয়ন আর অপারেশনের গতি বাড়ানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন নীতিমালায়ও সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এখানে বন্দরের অপারেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন ধারা যুক্ত করা হবে না।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে