চৌদ্দগ্রামে হোটেল থেকে গাঁজা ইয়াবা উদ্ধার, চারজনকে কারাদণ্ড

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১১: ২৮

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খাবারের হোটেলে অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও ইয়াবাসহ চারজনকে আটকের পর কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিজ্ঞাপন

শনিবার রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকবিরোধী এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অংশ নেয়া দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার চারটি বাইক ও ভাড়া করা একটি ট্রাক নিয়ে পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে মাদকদ্রব্যের ক্রেতা সেজে শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অংশের বিভিন্ন হোটেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। গঠিত দল কয়েকটি হোটেল থেকে প্রথমে কিছু টাকার মাদকদ্রব্য ক্রয় করে। পরে অভিযান চালিয়ে ৯১ পুরিয়া গাঁজা এবং ৩৮ পিস ইয়াবা ও সেবনের সরঞ্জামসহ চারজনকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কাছে আটক মাদকদ্রব্য হস্তান্তর করে। পরে তিনি সেগুলো সেনাবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।

এ সময় কয়েকটি হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার পালিয়ে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য নাবালক শিশুদের ব্যবহার করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন। মহাসড়কের বাবুচি বাজারের জমজম হোটেল থেকে আটক করা চার আসামিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ডসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অভিযানকালে কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এগুলো মনে হয় খাবারের নয়, গাঁজা ও ইয়াবার হোটেল।

রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে পুরো সমাজকে এই মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত