স্টাফ রিপোর্টার, (ঢাকা দক্ষিণ)
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে খাদিজা আক্তার তানিয়া (১৯) নামে এক প্রসূতি মা মারা গেছেন।
শুক্রবার সিজার অপারেশনের দুই ঘণ্টা পর তাকে অপারেশন টেবিল থেকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে তার আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন খাদিজা।
খাদিজার স্বজনরা জানিয়েছেন, সিজারের সময় রক্তনালি কেটে ফেলা হলেও সেলাই না দিয়ে রোগীকে ঢামেকে পাঠানো হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসাকে দায়ী করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে একাধিক মৃত্যু ঘটেছে ভুল চিকিৎসার কারণে। অভিযোগ আছে এই হাসপাতালে খাদিজার মতো অনেককেই ভুল চিকিৎসার কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকিয়া আক্তার বলেন, গত বছর এদের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার বান্ধবীর মেয়ে মারা গেছে। আড়াকুল এলাকার গৃহিণী আখি খান বলেন, ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ভালো না। ভুলভাল রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী সাব্বির হোসেন বলেন, রোগী নিয়ে এরা ব্যবসা করে। স্টাফদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। এখানে অনভিজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বার বেশি। যন্ত্রপাতি পুরোনো, ভালো রিডিং (সঠিক রেজাল্ট) আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক এক কর্মচারী বলেন, এই হাসপাতালের বেশিরভাগই অদক্ষ জনবল। মালিক রায়হান কম বেতন দিয়ে এদের রেখেছেন। এছাড়াও সে (মালিক) হাসপাতালে সুদের ব্যবসা করেন। রোগীদের বাধ্য করেন 'স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড' করতে। নানা প্রলোভন দেখান স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড করলে চিকিৎসায় সেবায় খরচে ছাড় পাওয়া যাবে। এভাবে শত শত লোকের কাছ থেকে সে আমানত সংগ্রহ করলেও পরে আর ফেরত দেন না।
তিনি আরও জানান, এই হাসপাতালে ডা: জসিম উদ্দিন নামে একজন চিকিৎসক বসে। আসলে সে চিকিৎসক নন। রায়হান মিয়ার লোক। সে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখে। এই ডাক্তার রায়হানের কথামতো রোগীদের অতিরিক্ত টেস্ট করিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুরের দরিদ্র ঘরের সন্তান রায়হান মিয়া সাজেদা হাসপাতালে চাকরি করতেন ২৫/৩০ হাজার টাকা বেতনে। সেখানে থাকা অবস্থায় সে ২০০৭ সালে কেরানীগঞ্জ ৪ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেন। এরপর ২০১৪ সালে সেই চাকরি ছেড়ে কোটি টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতাল ও 'স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড' এর ব্যবসা করে গত এক দশকে তিনি হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এদিকে গৃহবধূ খাদিজার মৃত্যুর ঘটনাটি আলোচিত হলে রোববার ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের একটি টিম ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালটির মালিক রায়হান মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। অধিকাংশ কর্মী অদক্ষ, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে রোগীদের ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়। এছাড়া ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড’ নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনা প্রকাশ পেলে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের টিম হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছে। তবে নিহতের পরিবার তিন লাখ টাকায় আপস করে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
হাসপাতালের মালিক রায়হান মিয়া দাবি করেছেন, খাদিজা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা গেছেন এবং পরিবার অভিযোগ না করায় বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে খাদিজা আক্তার তানিয়া (১৯) নামে এক প্রসূতি মা মারা গেছেন।
শুক্রবার সিজার অপারেশনের দুই ঘণ্টা পর তাকে অপারেশন টেবিল থেকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে তার আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন খাদিজা।
খাদিজার স্বজনরা জানিয়েছেন, সিজারের সময় রক্তনালি কেটে ফেলা হলেও সেলাই না দিয়ে রোগীকে ঢামেকে পাঠানো হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসাকে দায়ী করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে একাধিক মৃত্যু ঘটেছে ভুল চিকিৎসার কারণে। অভিযোগ আছে এই হাসপাতালে খাদিজার মতো অনেককেই ভুল চিকিৎসার কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকিয়া আক্তার বলেন, গত বছর এদের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার বান্ধবীর মেয়ে মারা গেছে। আড়াকুল এলাকার গৃহিণী আখি খান বলেন, ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ভালো না। ভুলভাল রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী সাব্বির হোসেন বলেন, রোগী নিয়ে এরা ব্যবসা করে। স্টাফদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। এখানে অনভিজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বার বেশি। যন্ত্রপাতি পুরোনো, ভালো রিডিং (সঠিক রেজাল্ট) আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক এক কর্মচারী বলেন, এই হাসপাতালের বেশিরভাগই অদক্ষ জনবল। মালিক রায়হান কম বেতন দিয়ে এদের রেখেছেন। এছাড়াও সে (মালিক) হাসপাতালে সুদের ব্যবসা করেন। রোগীদের বাধ্য করেন 'স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড' করতে। নানা প্রলোভন দেখান স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড করলে চিকিৎসায় সেবায় খরচে ছাড় পাওয়া যাবে। এভাবে শত শত লোকের কাছ থেকে সে আমানত সংগ্রহ করলেও পরে আর ফেরত দেন না।
তিনি আরও জানান, এই হাসপাতালে ডা: জসিম উদ্দিন নামে একজন চিকিৎসক বসে। আসলে সে চিকিৎসক নন। রায়হান মিয়ার লোক। সে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখে। এই ডাক্তার রায়হানের কথামতো রোগীদের অতিরিক্ত টেস্ট করিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুরের দরিদ্র ঘরের সন্তান রায়হান মিয়া সাজেদা হাসপাতালে চাকরি করতেন ২৫/৩০ হাজার টাকা বেতনে। সেখানে থাকা অবস্থায় সে ২০০৭ সালে কেরানীগঞ্জ ৪ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেন। এরপর ২০১৪ সালে সেই চাকরি ছেড়ে কোটি টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতাল ও 'স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড' এর ব্যবসা করে গত এক দশকে তিনি হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এদিকে গৃহবধূ খাদিজার মৃত্যুর ঘটনাটি আলোচিত হলে রোববার ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের একটি টিম ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালটির মালিক রায়হান মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। অধিকাংশ কর্মী অদক্ষ, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে রোগীদের ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়। এছাড়া ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড’ নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনা প্রকাশ পেলে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের টিম হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছে। তবে নিহতের পরিবার তিন লাখ টাকায় আপস করে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
হাসপাতালের মালিক রায়হান মিয়া দাবি করেছেন, খাদিজা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা গেছেন এবং পরিবার অভিযোগ না করায় বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩২ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে