‘নন্দিত সুন্দর’খ্যাত বিশিষ্ট কবি আবদুল কুদ্দুস ফরিদী ইন্তেকাল করেছেন। রোববার শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের লাকার্তায় নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মরহুমের বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তানসহ তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কবি আবদুল কুদ্দুস ফরিদীর জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৪ আগস্ট। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও ছড়া রচনার পাশাপাশি জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি, বাংলা ভাষার শব্দ, কবি নজরুলের কবিতা -গানে অলঙ্কার_ বিষয়ে গবেষণা করতেন। প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে নীল সাগরের ডাক, নন্দিত সুন্দর, পারিজাত রুপঝলমল প্রজাপতি ও রুবাই জলসা। প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলো অন্তত ১২ টি গ্রন্থ।
কবি আবদুল কুদ্দুস ফরিদী দৈনিক নয়া দিগন্ত, মাসিক মদীনা ও মুসলিম জাহানে দীর্ঘদিন সম্পাদনা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। দেশের আলোচিত ও শীর্ষ কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে তার ছিল নিবিড়ি ঘনিষ্ঠতা। শেষ জীবনে অসুস্থ অবস্থায় গ্রামে নীরবে-নিভৃতেই তিনি পরপারে পাড়ি জমান।
কবির পরিবারকে আর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্যে অতিশীঘ্র নাগরিক শোকসভার আয়োজন করবে তার প্রকাশকরা। সরলরেখা প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থে তিনি লিখেছেন ‘জন্মের আগে কোথায় ছিলাম, মৃত্যু পরে কোথায় যাবো, এসব তথ্য কে জানাবে, নিগূঢ় তত্ব কোথায় পাবো? ধর্মগ্রন্থ পড়ছি ঠিকই আমরা কি তার বাণী বুঝি? কতটুকুই জ্ঞান গরিমা? ভাবতে গেলেই খেই হারাবে।’

