টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৮০-ঊর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক পাষণ্ড ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মধুপুর পৌরসভার মাস্টারপাড়া আবাসিক এলাকায়। থানায় সাধারণ ডায়রি করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই বৃদ্ধসহ তার স্বজনরা।
আহত বাবা খোরশেদ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে মীর আব্দুল লতিফ ভোলা গত ৭ এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার অংশের ওয়ারিশের ৬ শতাংশ জমি ওই ছেলের তিন কন্যাসন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ছেলের বউ হালিমাকে লিখে দেই। সেই জমিতে তারা ঘর নির্মাণ করেছে। এই জমি লিখে দেয়ার কারণে আমার অপর ছেলে আ: হালিমসহ হারুন ও আব্দুর রশিদ গংরা ঘরে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। আমি একপর্যায়ে ঘর থেকে কোনো রকম বেরিয়ে যাই। পরে আমার চিৎকারে নাতনি ও ছেলের বউ এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করেন হালিম গং।
তিনি বলেন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সময়েও বাধাগ্রস্ত করে তারা। আমি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই। সব ছেলেকেই যার যার অংশের সম্পত্তি লিখে দিয়েছি। ঘটনার দিন (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতেই আমার নাতনি লিপিকা মধুপুর থানায় ডায়েরি করেন। ‘
পুলিশ ঘটনা তদন্ত করার পর থেকেই ওই বৃদ্ধ ও তার ছেলের বউসহ নাতনিদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা। ভয়ে তিনি এখন বাড়িছাড়া। এ ঘটনায় ছেলে হালিমসহ অভিযুক্ত সবার বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে আহত মীর খোরশেদ আলীর ছেলের বউ হালিমা বেগম দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় নাতনি লিপিকা বেগম বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত ওয়ারিশের সম্পত্তি দাদা লিখে দেয়ায় চাচা-চাচিরা সবাই ক্ষিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনাটি এলাকার কতিপয় ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল হালিম গংদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবীর জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

