কমিউনিটি ক্লিনিকের চারদিকে পানি, পাশের বাড়ি থেকে মিলছে সেবা

উপজেলা প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানি, মহড়ো ইউনিয়নের ডোকলাহাটি, লতিফপুর ইউনিয়নের বরদাম এবং গোড়াই ইউনিয়নের রানাশাল গ্রামে চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক অবস্থিত। চলাচলের রাস্তা থেকে এই ক্লিনিক গুলি অন্তত ৫ থেকে ৬ ফুট নিচে হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই চারপাশে পানি জমে। পানি বৃদ্ধি পেলে ক্লিনিকের ভেতরেও পানি প্রবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

ফলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা লোকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এবছরও বর্ষার শুরুতেই এই চারটি কমিউনিটি ক্লিনিকের চারপাশে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য কর্মীরা ক্লিনিকে যেতে পারছে না এবং সেবা গ্রহীতারাও সেখানে যেতে পারছে না। এসব ক্লিনিকে স্থানীয়দের সহায়তায় ক্লিনিকের নিকটবর্তী বাড়ি থেকে সেবা কার্যক্রম চলছে।

বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিকের পাশেই আমার বাড়ি। মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভিড় করে ওষুধ নেওয়া খুবই অস্বস্তিকর। রোগীরা ঠিকমতো তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন না।

বাওয়ার কুমারজানি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) জিয়াসমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে। ক্লিনিকের চারদিকে বছরের চার মাসই পানি থাকে। তখন অন্যের বাড়িতে গিয়ে ওষুধ দিতে হয়। এতে আমাদেরও যেমন অসুবিধা হয়, মানুষেরও ভোগান্তি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ডোকলাহাটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাহাফুজুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে এই কমিউনিটি ক্লিনিকে। বর্ষাকালে যখন পানি বেশি হয় তখন অন্যের বাাড়িতে বসে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। এবছরও ক্লিনিকের চারপাশে পানি। পানি কমলে পরনের কাপড় ভিজিয়ে ক্লিনিকে যেতে হয়। পুরো সময় ভেজা কাপড় পরে কাজ করতে হয়। ক্লিনিকে আসা যাওয়ার একটি রাস্তা থাকলে এই ভোগান্তি অনেক কমে যেত।

বরদাম এবং রানাশাল কমিউনিটি ক্লিনিকেও একই অবস্থা। সেখানেও ক্লিনিকের নিকটবর্তী একটি বাড়ি থেকে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, রাস্তার চেয়ে একটু নিচু জমিতে চারটি ক্লিনিকের অবস্থান। বর্ষার পানি এলেই চারদিকে পানি থাকে। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় ক্লিনিকের নিকটবর্তী বাড়ি থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার কাজ চলে আসছে। এসব ক্লিনিক গুলির ব্যাপারে সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত