কথিত নাশকতার মামলায় মাওলানা এএসএম তরিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক জুলাই যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি উত্তরা এলাকার তানযিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের একটি দল তাকে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত মাওলানা তরিকুল ইসলাম মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে।
জানা যায়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি-জামায়াতের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ এবং হেফাজতে ইসলামীর শাপলা চত্বর আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে টঙ্গীতে অবস্থিত তামীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নাশকতার একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় সে সময় তিনি কয়েক মাস কারাভোগ করেন।
তরিকুল ইসলামের ছোট ভাই খালিদ মুহাম্মদ জানান, ২০১৩ সালে তার ভাই বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে অংশ নিয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি মাওলানা তরিকুল ইসলাম সুনামগঞ্জ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী পদে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কর্মস্থলে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করে তিনি বাড়িতে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাওলানা তরিকুল ইসলামের পরিবার বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে এভাবে গ্রেপ্তার করা মেনে নিতে পারছে না পরিবার। তার ছোট ভাইয়ের ভাষ্যমতে, আওয়ামী আমলের পুলিশি নির্যাতনে মাওলানা তরিকুল ইসলাম এখনও অসুস্থ। পরিবার তাঁর দ্রুত জামিন এবং মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এলাকাবাসীর কাছে সজ্জন ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত মাওলানা তরিকুল ইসলাম। তার গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তারা দ্রুত তার মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, মাওলানা তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। র্যাব তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

