জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলার দুই কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বইছে হতাশা, প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার মান নিয়েও। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফলে দেখা যায়, জাজিরা উপজেলার ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজ থেকে এ বছর ২৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মানবিক শাখার ২৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩ জন। একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও বাকি সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
একই চিত্র দেখা গেছে গোসাইরহাট উপজেলার গরীবেরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে ১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর আগেও আরও দুবার একই কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
জাজিরার ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুবই কম। ছেলেরা অনেকে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, আর মেয়েরা বিবাহিত হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতির অভাব, পাঠে অনাগ্রহ—সব মিলিয়েই এমন ফলাফল।
একাধিকবার ফোন করা হলেও জাজিরা ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোসাইরহাটের গরীবেরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শামীম আহমেদ বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ক্লাসে উপস্থিতি কম, বই-পত্রের অভাব আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আগামী বছর ইনশাআল্লাহ ভালো ফল হবে।
ফল প্রকাশের পর থেকে এলাকাজুড়ে চলছে হতাশার গুঞ্জন। অভিভাবকরা বলছেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন তারা অনিশ্চিত।
স্থানীয় অভিভাবক ফজলুল হক বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখায় উৎসাহ দিই, কিন্তু কলেজে পড়ানোর পরিবেশ নেই। শিক্ষকরা সময় দেন না, ক্লাস হয় না—এ অবস্থায় বাচ্চারা কেমন করে পাস করবে?
শিক্ষাবিদদের মতে, এমন ফলাফল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমাবনতি ও অনুপ্রেরণাহীন শিক্ষার্থীদের প্রতিচ্ছবি।
শরীয়তপুরের একজন প্রাক্তন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু পরিদর্শন নয়, বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে মানবিক ও অনুপ্রেরণামূলক না করলে ফলাফল পরিবর্তন হবে না।
জাজিরা ও গোসাইরহাটের দুই কলেজে এক শিক্ষার্থীও পাস না করায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। প্রশ্ন উঠছে কাগজে-কলমে কলেজ থাকলেই কি শিক্ষা হয়? শিক্ষার আসল লক্ষ্য যদি মানুষ গড়া হয়, তবে এই ফলাফল পুরো ব্যবস্থারই সতর্কবার্তা।
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলার দুই কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বইছে হতাশা, প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার মান নিয়েও। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফলে দেখা যায়, জাজিরা উপজেলার ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজ থেকে এ বছর ২৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মানবিক শাখার ২৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩ জন। একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও বাকি সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
একই চিত্র দেখা গেছে গোসাইরহাট উপজেলার গরীবেরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে ১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর আগেও আরও দুবার একই কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
জাজিরার ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুবই কম। ছেলেরা অনেকে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, আর মেয়েরা বিবাহিত হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতির অভাব, পাঠে অনাগ্রহ—সব মিলিয়েই এমন ফলাফল।
একাধিকবার ফোন করা হলেও জাজিরা ডা. মোসলেম উদ্দিন খান কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোসাইরহাটের গরীবেরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শামীম আহমেদ বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ক্লাসে উপস্থিতি কম, বই-পত্রের অভাব আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আগামী বছর ইনশাআল্লাহ ভালো ফল হবে।
ফল প্রকাশের পর থেকে এলাকাজুড়ে চলছে হতাশার গুঞ্জন। অভিভাবকরা বলছেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন তারা অনিশ্চিত।
স্থানীয় অভিভাবক ফজলুল হক বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখায় উৎসাহ দিই, কিন্তু কলেজে পড়ানোর পরিবেশ নেই। শিক্ষকরা সময় দেন না, ক্লাস হয় না—এ অবস্থায় বাচ্চারা কেমন করে পাস করবে?
শিক্ষাবিদদের মতে, এমন ফলাফল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমাবনতি ও অনুপ্রেরণাহীন শিক্ষার্থীদের প্রতিচ্ছবি।
শরীয়তপুরের একজন প্রাক্তন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু পরিদর্শন নয়, বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে মানবিক ও অনুপ্রেরণামূলক না করলে ফলাফল পরিবর্তন হবে না।
জাজিরা ও গোসাইরহাটের দুই কলেজে এক শিক্ষার্থীও পাস না করায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। প্রশ্ন উঠছে কাগজে-কলমে কলেজ থাকলেই কি শিক্ষা হয়? শিক্ষার আসল লক্ষ্য যদি মানুষ গড়া হয়, তবে এই ফলাফল পুরো ব্যবস্থারই সতর্কবার্তা।
বিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
১১ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় এক কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য বজলুর রহমান শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি । এ ঘটনার ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একজন দগ্ধ হয়েছেন এবং পৌর মার্কেটের একটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়েছে। দগ্ধ ওই যুবকের নাম শাওন (২২)। তিনি পুড়ে যাওয়া শাহজালাল থাই অ্যালুমিনিয়াম দোকানের কর্মচারী।
২ ঘণ্টা আগে