নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাভার থানা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি, একাধিক মামলার আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে ভাকুর্তা ইউনিয়নের মুশরীখোলা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দখল থেকে ২৪ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশের এসআই আবদুস সালাম গোপন খবরের ভিত্তিতে তাদের আটক করলেও বিষয়টি গতকাল শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জেনে গেলে, ডিবি বিষয়টি স্বীকার করে।
আটকদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তে পুলিশ চার লাখ টাকা নিলেও কথা রাখেনি বলে, অভিযোগ করেন গ্রেপ্তার আরিফের ভাই মানিক ও আলমগীরের স্ত্রী। তারা জানান, ছেড়ে দেওয়ার পর মাঝপথে তাদের পুনরায় আটক করা হয় ।
টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ওসি জালাল উদ্দিন । তিনি জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আজ রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলাম আরিফ। তার বিরুদ্ধে হত্যা-মামলাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। তার বড় ভাই রাজু ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস। এলাকায় খুন-খারাপি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে যুক্ত ছিলেন রাজু ও আরিফ। জুলাই বিপ্লবের পর রাজু পালিয়ে কলকাতায় আশ্রয় নিলেও ধরা পড়ল আরিফ।

