মা-মেয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন, হত্যাকারী গ্রেপ্তার

উপজেলা প্রতিনিধি, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী রাজ্জাক শেখের স্ত্রী সিথী আক্তার স্মৃতি (২৩) ও তার তিন বছরের কন্যা মরিয়ম হত্যার প্রকৃত কারণ জানা গেছে । টানা ১০ দিন পর উদঘাটন হয়েছে এই জোড়া হত্যার রহস্য।

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুজন (২৭) আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ১৬৪ ধারায়। র‍্যাবের হাতে আটকের পর সুজন জানিয়েছেন, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্মৃতি ও তার কন্যাকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। ২৩ অক্টোবর রাতে এই ঘটনা ঘটে। ২৪ অক্টোবর সকালে মরিয়মের লাশ যমুনা নদীর পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তখন স্মৃতির খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার বিকালে পদ্মার পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে।

পুলিশ জানিয়েছে, শিবালয় উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের সাঈদ শেখের ছেলে সুজন সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। আসার পর প্রতিবেশী রাজ্জাক শেখের স্ত্রী স্মৃতির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফোনে যোগাযোগ চলতে থাকে তাদের। একপর্যায়ে সুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় স্মৃতি। সুজন এতে রাজি না হয়ে অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্মৃতি হুমকি দেয় তার বাড়িতে গিয়ে উঠবে। পরে সুজন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৩ অক্টোবর রাতে স্মৃতিকে পাশের পেয়ারা বাগানে আসতে বলে। সেদিন স্মৃতি তার কন্যা মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সুজন পেছন থেকে জাপটে ধরে স্মৃতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এই দৃশ্য দেখে মরিয়ম কান্না শুরু করলে তাকেও গলা টিপে হত্যা করা হয়। পরে লাশ দুটি যমুনা নদীতে ফেলে দেয় সুজন।

ঘটনার পর র‍্যাব-৪ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সুজন।

পুলিশ সুপার মোছাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন জানান, শিবালয়ে মা ও মেয়েকে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সকল আলামত উদ্ধার করতে পুলিশের প্রায় ১০ দিন সময় লাগলেও হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত