উপজেলা প্রতিনিধি (হোসেনপুর) কিশোরগঞ্জ
হোসেনপুরে রোপা আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পার্চিং দিয়ে ধান ক্ষেতের পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বোরো ফসলের ক্ষেতে বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে এবং ধইঞ্চা রোপণ করে দিচ্ছেন কৃষক।
এসব বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচান এবং ধইঞ্চার ডালে বিভিন্ন ধরনের পোকাখাদক পাখি বসে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে এবং ওইসব পাখি পার্চিংয়ে বসে ক্ষণিক সময়ের বিশ্রামও নিচ্ছে। এভাবে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষা পাচ্ছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস।
পার্চিং পদ্ধতি হচ্ছে পাখির মাধ্যমে ফসলের পোকা দমনে উত্তম ব্যবস্থা। এর ফলে কৃষকরা একদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে পরিশ্রমও কম হচ্ছে। পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয়। কারণ একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান ক্ষেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেওয়াই ভালো ।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে হোসেনপুরে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সাধারণত ধানগাছে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, খাটসুর, ঘাসফড়িং ও পাতাফড়িং আক্রমণ করে। পোকাখাদক পাখি জমিতে পুঁতে রাখা পার্চিংয়ে বসে এসব ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে এর মাধ্যমে অতি সহজেই ক্ষতিকর পোকা দমন করা সম্ভব হয় এবং নিরাপদ হয় ফসল।
পার্চিং সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ডেড পার্চিং ও লাইফ পার্চিং পদ্ধতি। ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচান বা আড় এবং গাছের ডাল পুঁতে যে পার্চিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় তাকে ডেড বা মৃত পার্চিং বলে এবং ধইঞ্চা রোপণ করে ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী করাকে লাইফ পার্চিং বলে। লাইফ পার্চিং ফসলের ক্ষেতে দুই ধরনের উপকারে আসে। যেমন- পোকাখাদক পাখি বসে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খায় এবং ধইঞ্চার শিকড়ে এক ধরনের গুটির জন্ম হয়। এ গুটি থেকে নাইট্রোজেন উৎপন্ন হয়। যা ইউরিয়া সারের কাজ করে।
উপজেলার জিনারী গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক ও মো. রতন মিয়া জানান, কয়েক বছর আগেও আমাদের মাঠের সব জমির ধানেই পোকায় আক্রমণ করত। অনেক সময় টাকার অভাবে বিষ দিতে পারি না বা দিলেও কাজ হয় না। অফিসারদের পরামর্শে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান বলেন, পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এ পদ্ধতিটি এলাকার সব কৃষক ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবির জানান, জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি।
হোসেনপুরে রোপা আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পার্চিং দিয়ে ধান ক্ষেতের পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বোরো ফসলের ক্ষেতে বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে এবং ধইঞ্চা রোপণ করে দিচ্ছেন কৃষক।
এসব বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচান এবং ধইঞ্চার ডালে বিভিন্ন ধরনের পোকাখাদক পাখি বসে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে এবং ওইসব পাখি পার্চিংয়ে বসে ক্ষণিক সময়ের বিশ্রামও নিচ্ছে। এভাবে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষা পাচ্ছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস।
পার্চিং পদ্ধতি হচ্ছে পাখির মাধ্যমে ফসলের পোকা দমনে উত্তম ব্যবস্থা। এর ফলে কৃষকরা একদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে পরিশ্রমও কম হচ্ছে। পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয়। কারণ একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান ক্ষেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেওয়াই ভালো ।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে হোসেনপুরে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সাধারণত ধানগাছে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, খাটসুর, ঘাসফড়িং ও পাতাফড়িং আক্রমণ করে। পোকাখাদক পাখি জমিতে পুঁতে রাখা পার্চিংয়ে বসে এসব ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে এর মাধ্যমে অতি সহজেই ক্ষতিকর পোকা দমন করা সম্ভব হয় এবং নিরাপদ হয় ফসল।
পার্চিং সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ডেড পার্চিং ও লাইফ পার্চিং পদ্ধতি। ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচান বা আড় এবং গাছের ডাল পুঁতে যে পার্চিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় তাকে ডেড বা মৃত পার্চিং বলে এবং ধইঞ্চা রোপণ করে ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী করাকে লাইফ পার্চিং বলে। লাইফ পার্চিং ফসলের ক্ষেতে দুই ধরনের উপকারে আসে। যেমন- পোকাখাদক পাখি বসে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খায় এবং ধইঞ্চার শিকড়ে এক ধরনের গুটির জন্ম হয়। এ গুটি থেকে নাইট্রোজেন উৎপন্ন হয়। যা ইউরিয়া সারের কাজ করে।
উপজেলার জিনারী গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক ও মো. রতন মিয়া জানান, কয়েক বছর আগেও আমাদের মাঠের সব জমির ধানেই পোকায় আক্রমণ করত। অনেক সময় টাকার অভাবে বিষ দিতে পারি না বা দিলেও কাজ হয় না। অফিসারদের পরামর্শে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান বলেন, পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এ পদ্ধতিটি এলাকার সব কৃষক ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবির জানান, জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১২ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২১ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
৩৪ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৪০ মিনিট আগে