সার সংকটে বিপাকে নিকলী হাওরাঞ্চলের কৃষক

হিমেল আহমেদ, নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২০

কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরাঞ্চলের সারের সংকটে বিপাকে পড়েছেন নিকলী হাওরাঞ্চলের কৃষক। উঁচু-নিচু জমির পানি এবার দ্রুত নেমে যাওয়ায় পুরোদমে শুরু হয়েছে কৃষকের ফসল ফলানোর তোড়জোড়।

আলু, টমেটো, কাঁচামরিচ, ভুট্টা ও বোরো ধানসহ ইত্যাদি ফসল চাষ হয়ে থাকে হাওরের জমিগুলোতে। এই ফসল চাষাবাদ করতে কৃষকদের নির্ভরশীল হতে হয় রাসায়নিক সারের ওপর। এবার নিকলীতে রবি মৌসুমে রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একদিকে ডিলারের কাছে সার মিলছে না, অন‌্যদিকে সরকারি ছুটির দিনে মিলে না সার । এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষকরা জানান, ডিলারদের গুদামে পর্যাপ্ত সার থাকলেও তারা কৃষকদের কাছে সরবরাহ না করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। সরকারি ছুটির দিনসহ শুক্রবার ও শনিবার সরকার অনুমোদিত ডিলারে মিলেছে না রাসায়নিক সার। এতে করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ সময়ে রাসায়নিক সার নিতে আসা কৃষকদের হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গিয়েছে। জারইতলা ইউনিয়নের কৃষক মো. নূরে আলম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে ডিলার থেকে রাসায়নিক সার সংগ্রহ করতে হয়। টোকেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্লক সুপারভাইজার দিয়ে থাকেন। অনেক কৃষক হয়রানি বলে অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত শুক্রবার ও শনিবার নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নে মেসাস ইভা এন্টারপ্রাইজ রাসায়নিক সারের ডিলারে গিয়ে দেখা যায়, গুদামে সার মজুত রয়েছে, কিন্তু কৃষকদের কাছে বিক্রি করছেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মো. আফজাল হোসেন শ্যামল বলেন, কৃষি অফিসারের উপস্থিতিতে সার বিক্রি করার নির্দেশ রয়েছে। তাই রোববারের আগে সার বিক্রি করা যাবে না।

সিংপুর পূর্বপাড়ার কৃষক এনাম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ দিন যাবৎ ঘুরতেছি কিন্তু দুই বস্তা সারও কিনতে পারিনি। ভুট্টা চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে রেখেছেন তিনি। রোববারে এসেও সার পাবে কি না সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

কৃষিতে রাসায়নিক সারের সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলেন জানান, কৃষক মো. ইব্রাহিম । নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল সামাদ আমার দেশকে জানান, নিকলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভুট্টার চাষ বেশি হওয়ার কারণে সেসব ইউনিয়নগুলোতে সারের সাময়িক কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। বেসরকারি আমদানি কারকদের সার উত্তোলন শেষ হলে সংকট কেটে যাবে। বর্তমানে যে ফসলের মৌসুম সেই হারে কৃষক যেন সার পায়, তাই টোকেন সিস্টেম করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত