উপজেলা প্রতিনিধি, রায়পুরা (নরসিংদী)
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় চরাঞ্চল ও নদীবেষ্টিত রয়েছে ৬টি ইউনিয়ন। প্রতি বছরই এসব ইউনিয়নে অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে শত শত পরিবার হারাচ্ছেন ফসলি জমি ও ভিটেবাড়ি। নিচু এলাকা হওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক গ্রাম বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি মির্জাচর ইউনিয়ন। এখানকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় কার্যাদেশ পায় মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ।
পত্রটির মাধ্যমে জানা গেছে, তিন কোটি ছয় লাখ ত্রিশ হাজার নয়শ একচল্লিশ টাকা চুক্তি মূল্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ বছর ৭ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ৬ বছরেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কোনো কাজেই আসছে না প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের ওই ভবনটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে একটি অসম্পূর্ণ ভবন। প্রথমে দেখেই মনে হতে পারে এটি একটি পরিত্যক্ত পুরাতন ভবন। নির্মাণ কাজ থমকে যাওয়া এই অসম্পূর্ণ ভবনটি ব্যবহার করার কথা ছিলো বিদ্যালয় ও বন্যার সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখন এলাকার বখাটেদের আড্ডাখানা ও মাদকসেবীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থান বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ঠিকাদারকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। কাজটি সম্পূর্ণ হলে এলাকাবাসীর অনেক উপকারে আসতো। আশ্রয়কেন্দ্রটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকায়, কোনো দরজা জানালা না থাকায় বিভিন্ন লোকজন অবাধে অপব্যবহার করছে। এটি মাদকসেবীদের আড্ডা খানা।
ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, প্রতি বছরই ঘুর্ণিঝড়, বন্যা ও নদী ভাঙনে অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কাজ অসমাপ্ত হয়ে আছে। বাকি কাজ করবে কিনা এটার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগও করতে পারছি না। কাজ হলে গৃহপালিত পশুসহ এখানে বন্যার সময় আশ্রয় নেওয়া যেতো।
মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটির তৃতীয়তলা পর্যন্ত ছাদ ও দেওয়াল নির্মাণ করা হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও দুর্যোগ মুহূর্তে বন্যাকবলিতদের কাজে আসবে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে গেছে।
২০২৪ সালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে রায়পুরায় এসে যোগ দেন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। এরপর তিনি ওই আশ্রয়কেন্দ্রটি দুইবার পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, প্রকল্পটির কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। ভবনটিতে অল্প একটু কাজ বাকি আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোনে সাড়া না পেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির পর ওই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে খুব দ্রুতই এসে বাকি কাজ সম্পন্ন করবে। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মির্জাচরে আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে আছে, অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটি প্রস্তুত হলে বিদ্যালয়ের ক্লাস পরিচালনার পাশাপাশি দুর্যোগ মুহূর্তে স্থানীয়দের কাজে আসবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মামুন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, চরের কোনো নির্মাণ শ্রমিক এখানে কাজ করে না। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে তারা আসে। বিভিন্ন সময়ে চরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা এলাকায় থাকতে চাচ্ছে না। অফিশিয়ালি কথা হয়েছে দুয়েকদিনের মধ্যে শ্রমিকরা এলাকায় ঢুকবে। ২০২১ সালে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় চরাঞ্চল ও নদীবেষ্টিত রয়েছে ৬টি ইউনিয়ন। প্রতি বছরই এসব ইউনিয়নে অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে শত শত পরিবার হারাচ্ছেন ফসলি জমি ও ভিটেবাড়ি। নিচু এলাকা হওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক গ্রাম বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি মির্জাচর ইউনিয়ন। এখানকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় কার্যাদেশ পায় মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ।
পত্রটির মাধ্যমে জানা গেছে, তিন কোটি ছয় লাখ ত্রিশ হাজার নয়শ একচল্লিশ টাকা চুক্তি মূল্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ বছর ৭ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ৬ বছরেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কোনো কাজেই আসছে না প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের ওই ভবনটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে একটি অসম্পূর্ণ ভবন। প্রথমে দেখেই মনে হতে পারে এটি একটি পরিত্যক্ত পুরাতন ভবন। নির্মাণ কাজ থমকে যাওয়া এই অসম্পূর্ণ ভবনটি ব্যবহার করার কথা ছিলো বিদ্যালয় ও বন্যার সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখন এলাকার বখাটেদের আড্ডাখানা ও মাদকসেবীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থান বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ঠিকাদারকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। কাজটি সম্পূর্ণ হলে এলাকাবাসীর অনেক উপকারে আসতো। আশ্রয়কেন্দ্রটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকায়, কোনো দরজা জানালা না থাকায় বিভিন্ন লোকজন অবাধে অপব্যবহার করছে। এটি মাদকসেবীদের আড্ডা খানা।
ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, প্রতি বছরই ঘুর্ণিঝড়, বন্যা ও নদী ভাঙনে অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কাজ অসমাপ্ত হয়ে আছে। বাকি কাজ করবে কিনা এটার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগও করতে পারছি না। কাজ হলে গৃহপালিত পশুসহ এখানে বন্যার সময় আশ্রয় নেওয়া যেতো।
মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটির তৃতীয়তলা পর্যন্ত ছাদ ও দেওয়াল নির্মাণ করা হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও দুর্যোগ মুহূর্তে বন্যাকবলিতদের কাজে আসবে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে গেছে।
২০২৪ সালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে রায়পুরায় এসে যোগ দেন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। এরপর তিনি ওই আশ্রয়কেন্দ্রটি দুইবার পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, প্রকল্পটির কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। ভবনটিতে অল্প একটু কাজ বাকি আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোনে সাড়া না পেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির পর ওই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে খুব দ্রুতই এসে বাকি কাজ সম্পন্ন করবে। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মির্জাচরে আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে আছে, অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটি প্রস্তুত হলে বিদ্যালয়ের ক্লাস পরিচালনার পাশাপাশি দুর্যোগ মুহূর্তে স্থানীয়দের কাজে আসবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মামুন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, চরের কোনো নির্মাণ শ্রমিক এখানে কাজ করে না। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে তারা আসে। বিভিন্ন সময়ে চরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা এলাকায় থাকতে চাচ্ছে না। অফিশিয়ালি কথা হয়েছে দুয়েকদিনের মধ্যে শ্রমিকরা এলাকায় ঢুকবে। ২০২১ সালে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩৭ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৪৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে