মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ খাসের চর গ্রামের শিক্ষার্থী সুমাইয়ার সন্ধান দেড় মাসেও দিতে পারেনি পুলিশ। ১৫ আগস্ট হরগজ খাসের চর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা সুমাইয়া আক্তার সকাল ১০টায় একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য হরগজ বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি তিনি।
সিরাজুল ইসলাম তার মেয়েকে কোথাও না পেয়ে ১৬ আগস্ট সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরগজ ইউনিয়নের বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক এস আই মো. রায়হানকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ বিষয়ে পুলিশ গাফিলতি করছে বলে অভিযোগ করেন সিরাজুল ইসলাম।
২৯ সেপ্টেম্বর সুমাইয়ার পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজন সাটুরিয়ার ডাকবাংলোয় সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তারা সুমাইয়াকে উদ্ধারে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ে নিখোঁজের কথা বলতে গিয়ে মা নিলুফা আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, মেয়েকে উদ্ধারে রায়হান দারোগা যাতায়াত বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি এ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। অভিযোগের তিন দিন পরে আমার স্বামীর মোবাইলে ফোন দিয়ে রায়হান দারোগা বলেন, ‘আপনার মেয়ে দিনাজপুরে আছে। টাকা এবং গাড়ি রেডি রাইখেন। এভাবে তিনদিন গাড়ি ভাড়া করাইছে, কিন্তু যায় নাই। আমার মেয়েকে উদ্ধারের কথা মোবাইলে জানতে চাইলে যাই যাচ্ছি বলেন। বাকি টাকা উদ্ধারের পর দিতে চেয়েছি। আমি আমার মেয়েকে যেকোনো মূল্যে ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে এস আই মো. রায়হানকে জিজ্ঞেস করলে টাকার বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বাদীপক্ষই উদ্ধারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, তার সন্ধানে সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মেয়েটির সন্ধানে কাজ করছে।

