উপজেলা প্রতিনিধি, রাজৈর (মাদারীপুর)
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের কালকিনি পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার অংশ এখন ভয়াবহ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই বেহাল দশার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মুমূর্ষু রোগীরা। যেখানে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানোই জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়, সেখানে এই সড়ক যেন মৃত্যুর আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজৈরের একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক শওকত হোসেন বলেন, “রোগী নিয়ে ফরিদপুর বা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাজৈর পার হয়ার পর থেকেই গাড়ি গর্তে পড়ে ঝাঁকুনি খায়। রোগীরা প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ব্যথায় ছটফট করেন। এতে শুধু সময় নষ্ট নয়, অনেক সময় প্রাণও হারাতে হয়।”
মোটরযান চালকদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও এই পথে চলাচলের সময় রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক মো. ইয়ামিন বলেন, “যাত্রী উঠলে আগে বলি—সাবধান হয়ে বসুন। আমাদের গাড়ি প্রায়ই রাস্তায় নষ্ট হয়ে যায়। আর অ্যাম্বুলেন্সের অবস্থা আরও ভয়াবহ।”
মাইক্রোবাস চালক একরাম জানান, “এই রাস্তায় এখন ড্রাইভ করা মানে নিজের ও যাত্রীর জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। গর্তে পড়ে গাড়ির ব্যালেন্স থাকে না। রোগী থাকলে বিপদ দ্বিগুণ।”
একের পর এক দুর্ঘটনা
সড়কটির বেহাল দশার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩ আগস্ট রাজৈরের কালিবাড়ি এলাকায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন, যার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এর আগে ২৯ জুলাই বরইতলায় বরিশালগামী একটি বাস গর্ত এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে চালক নিহত হন এবং আহত হন অন্তত ১৫ যাত্রী, যাদের অনেকে ছিলেন অসুস্থ। ১৫ জুলাই কামালদি এলাকায় বাস ও মিনি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫ জন। ১৩ মে বৌলগ্রামে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। গত ৫ জুন বাবলাতলায় বাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে আনুমানিক ৫ জন নিহত হন, এ সময় আরও ৫ জন আহত হন। ৩ মার্চ ভাঙ্গায় দ্রুতগতির পিকআপের চাপায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গা, রাজৈর, মোস্তফাপুর, টেকেরহাট, বরইতলা ও ভুরঘাটা এলাকাজুড়ে ভাঙাচোরা পিচ, খোলা মাটি ও গর্তে জমে থাকা পানি রয়েছে। যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, ফলে রোগী ও যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
উন্নত চিকিৎসায় বড় বাধা
মাদারীপুর সদর, কালকিনি, রাজৈর ও টেকেরহাট এলাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন সাধারণ ও জরুরি রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর ও ঢাকায় যান। কিন্তু সড়কের এই করুণ অবস্থা চিকিৎসাসেবাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হাসান বলেন, “প্রাথমিকভাবে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ইট-বালু দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে, তবে বৃষ্টির কারণে তা স্থায়ী হচ্ছে না। আমরা মন্ত্রণালয়ে বড় বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই টেকসই সংস্কার কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকরা দ্রুত এই সড়কের টেকসই সংস্কার এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নতির দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, এই অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে রূপ নিয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাবে।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের কালকিনি পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার অংশ এখন ভয়াবহ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই বেহাল দশার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মুমূর্ষু রোগীরা। যেখানে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানোই জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়, সেখানে এই সড়ক যেন মৃত্যুর আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজৈরের একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক শওকত হোসেন বলেন, “রোগী নিয়ে ফরিদপুর বা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাজৈর পার হয়ার পর থেকেই গাড়ি গর্তে পড়ে ঝাঁকুনি খায়। রোগীরা প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ব্যথায় ছটফট করেন। এতে শুধু সময় নষ্ট নয়, অনেক সময় প্রাণও হারাতে হয়।”
মোটরযান চালকদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও এই পথে চলাচলের সময় রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক মো. ইয়ামিন বলেন, “যাত্রী উঠলে আগে বলি—সাবধান হয়ে বসুন। আমাদের গাড়ি প্রায়ই রাস্তায় নষ্ট হয়ে যায়। আর অ্যাম্বুলেন্সের অবস্থা আরও ভয়াবহ।”
মাইক্রোবাস চালক একরাম জানান, “এই রাস্তায় এখন ড্রাইভ করা মানে নিজের ও যাত্রীর জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। গর্তে পড়ে গাড়ির ব্যালেন্স থাকে না। রোগী থাকলে বিপদ দ্বিগুণ।”
একের পর এক দুর্ঘটনা
সড়কটির বেহাল দশার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩ আগস্ট রাজৈরের কালিবাড়ি এলাকায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন, যার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এর আগে ২৯ জুলাই বরইতলায় বরিশালগামী একটি বাস গর্ত এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে চালক নিহত হন এবং আহত হন অন্তত ১৫ যাত্রী, যাদের অনেকে ছিলেন অসুস্থ। ১৫ জুলাই কামালদি এলাকায় বাস ও মিনি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫ জন। ১৩ মে বৌলগ্রামে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। গত ৫ জুন বাবলাতলায় বাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে আনুমানিক ৫ জন নিহত হন, এ সময় আরও ৫ জন আহত হন। ৩ মার্চ ভাঙ্গায় দ্রুতগতির পিকআপের চাপায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গা, রাজৈর, মোস্তফাপুর, টেকেরহাট, বরইতলা ও ভুরঘাটা এলাকাজুড়ে ভাঙাচোরা পিচ, খোলা মাটি ও গর্তে জমে থাকা পানি রয়েছে। যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, ফলে রোগী ও যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
উন্নত চিকিৎসায় বড় বাধা
মাদারীপুর সদর, কালকিনি, রাজৈর ও টেকেরহাট এলাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন সাধারণ ও জরুরি রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর ও ঢাকায় যান। কিন্তু সড়কের এই করুণ অবস্থা চিকিৎসাসেবাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হাসান বলেন, “প্রাথমিকভাবে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ইট-বালু দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে, তবে বৃষ্টির কারণে তা স্থায়ী হচ্ছে না। আমরা মন্ত্রণালয়ে বড় বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই টেকসই সংস্কার কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকরা দ্রুত এই সড়কের টেকসই সংস্কার এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নতির দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, এই অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে রূপ নিয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১৬ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগে